শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিতর্ক/ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়ার প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ

রবিবার, ডিসেম্বর ১০, ২০২৩

প্রিন্ট করুন
লিজ ম্যাগিল

পেনসিলভানিয়া, যুক্তরাষ্ট্র: যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের শুনানিতে ক্যাম্পাসে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে অবস্থানের জেরে বিতর্ক শুরু হওয়ার পর পদত্যাগ করেছেন ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়ার প্রেসিডেন্ট লিজ ম্যাগিল। ম্যাগিল স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন বলে শনিবার (৯ ডিসেম্বর) জানিয়েছেন অভিজাত আইভি লিগভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়টির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান স্কট বুক। রয়টার্সের।

গেল অক্টোবরে ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাসগুলোতে ইহুদিবিদ্বেষ বেড়ে গেছে; যা নিয়ে মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের কমিটিতে শুনানি হয়। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্টরা তাদের সাক্ষ্য দেন।

ওই দিন যে তিনজন শীর্ষ ইউনিভার্সিটি প্রেসিডেন্ট তাদের বক্তব্যের জন্য সমালোচিত হচ্ছেন, তাদের একজন ম্যাগিল।

পদত্যাগ করলেও একজন ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত ম্যাগিল দায়িত্ব পালন করে যাবেন বলে জানিয়েছেন ফিলাডেলফিয়া ভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ট্রাস্টি বোর্ডের প্রধান স্কট বুক।

শনিবার (৯ ডিসেম্বর) ম্যাগিলের পদত্যাগের সংবাদ জানিয়ে দেয়া বিবৃতিতে স্কট বুক বলেন, ‘আমি আপনাদের জানাচ্ছি যে, লিজ ম্যাগিল স্বেচ্ছায় পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।’

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের কমিটির সামনে সাক্ষ্য দেন ম্যাগিল, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ক্লাউডিন গে এবং ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অব টেকনোল্যজির প্রেসিডেন্ট স্যালি কর্নব্লুথ।

শুনানিতে প্রত্যেকের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, যে শিক্ষার্থীরা তাদের ক্যাম্পাসে ‘ইহুদিদের গণহত্যার’ ডাক দিয়েছেন, তারা আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন কি না।

এ প্রশ্নে তিনজন সুনির্দিষ্ট উত্তর দেননি। তাদের উত্তর ছিল দীর্ঘ, আইনজীবীর মত, আপাতদৃষ্টে এড়িয়ে যাওয়ার মত। ফলে প্রতিক্রিয়া হয় দ্রুত ও তীব্র।

গেল ৭ অক্টোবর ইসরাইলের হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। উত্তরে ৭ অক্টোবর থেকেই গাজায় নির্বিচারে হামলা শুরু করে ইসরাইল। এ ঘটনার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্যাম্পাসে ইহুদিবিদ্বেষ ও ঘৃণামূলক অপরাধ বেড়ে গেছে।