ঢাকা: হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। রোববার (১০ ডিসেম্বর) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব মো. তফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে হজ নিবন্ধনের সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘২০২৪ সালের হজযাত্রী চূড়ান্ত তালিকা আগামী ৭ জানুয়ারির মধ্যে রাজকীয় সৌদি সরকারের হজ এবং ওমরাহ মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চূড়ান্ত হজযাত্রী সংখ্যা পাওয়া না গেলে মিনায় সুবিধাজনক স্থানে তাঁবু পাওয়া যাবে না। সেক্ষেত্রে মিনায় জামারাহের তুলনামূলক দূরবর্তী এলাকায় তাঁবু নিতে হবে। এ পরিস্থিতি এড়াতে নিবন্ধন সময়সীমা বাড়ানো হলেও পুনরায় সময় বাড়ানো হবে না।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ‘সরকারি ও বেসরকারি উভয় মাধ্যমে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রাক-নিবন্ধিত হজযাত্রীরা হজের নিবন্ধন করতে পারবেন। সরকারি মাধ্যম ও এজেন্সির জন্য নির্ধারিত কোটা পূর্ণ হওয়ার সাথে সাথে নিবন্ধন সার্ভার স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। সরকারি মাধ্যমে সব প্যাকেজে দুই লাখ পাঁচ হাজার টাকা সোনালী ব্যাংকে জমা দিয়ে প্রাথমিক নিবন্ধন করা যাবে। প্যাকেজ দামের অবশিষ্ট টাকা ২০২৪ এর ২৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আবশ্যিকভাবে একই ব্যাংকে জমা দিতে হবে। প্রাথমিক নিবন্ধনের পর অবশিষ্ট টাকা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জমা দিতে ব্যর্থ হলে তিনি হজে যেতে পারবেন না ও প্রদত্তদুই লাখ পাঁচ হাজার টাকা মক্কা-মদিনায় বাড়ি ভাড়া ও মোয়াল্লেম ফি বাবদ ব্যয় হবে বিধায় ওই টাকা ফেরত দেয়া হবে না। হজযাত্রীর নিবন্ধনের ক্রম অনুসারে সরকারি মাধ্যমের ভাড়াকৃত বাড়ির মধ্যে হারাম শরীফ হতে অপেক্ষাকৃত কাছের বাড়ি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বরাদ্দ দেয়া হবে।’
প্রাথমিক নিবন্ধনের অর্থ জমা দেয়ার পর প্যাকেজ পরিবর্তনের কোন সুযোগ থাকবে না। সরকারি মাধ্যমে সাধারণ হজ প্যাকেজে ট্রেন ব্যতিত নিবন্ধনের অপশন বাতিল করা হল। তাছাড়া, বিমান ভাড়া ও সৌদি আরবের ব্যয় বাবদ দুই লাখ পাঁচ হাজার টাকা জমা দিয়ে বেসরকারি এজেন্সিতে প্রাথমিক নিবন্ধন করা যাবে।
হজ এজেন্সির মাধ্যমে প্রাক- নিবন্ধন ফি ২০২৪ এর ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ হাজার ৭৫২ টাকার বদলে ৩০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হল। হজ এজেন্সির নির্ধারিত ব্যাংক হিসাব ব্যতিত প্রাক-নিবন্ধন ও নিবন্ধনের টাকা কোন ব্যক্তির নিকট নগদ দেয়া যাবে না এবং হজ এজেন্সিও নগদ অর্থ নিতে পারবে না। হজ কার্যক্রমের সব সেবা ও প্যাকেজ দাম বিস্তারিত উল্লেখপূর্বক হজযাত্রী ও এজেন্সির মধ্যে লিখিত চুক্তি সম্পাদন করা হবে। এর ব্যত্যয় হলে কোন পক্ষের অভিযোগ গ্রহণযোগ্য হবে না। হজে গমনের শর্তাবলী, করণীয় ও হজযাত্রীর সুযোগ-সুবিধা হজ প্যাকেজ ২০২৪ হতে বিস্তরিত জানা যাবে।