শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

কমেছে মূল্যস্ফীতির চাপ/ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে ভোক্তাদের আস্থা বৃদ্ধি পেয়েছে

সোমবার, ডিসেম্বর ১১, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

ওয়াশিংটন ডিসি, যুক্তরাষ্ট্র: মূল্যস্ফীতির চাপ কমে আসায় ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের ভোক্তাদের আস্থা ফিরে এসেছে। টানা চার মাস পতনের অবসান ঘটিয়ে ফেডারেল রিজার্ভের কর্মকর্তারা এ অগ্রগতিকে স্বাগত জানিয়েছেন বলে মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের জরিপে দেখা গেছে। খবর ফ্রি মালয়েশিয়া টুডের।

ডিসেম্বরের জন্য প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে ভোক্তাদের আস্থা ৬৯ দশমিক চার ছিল। এর অর্থ ডিসেম্বরে ভোক্তাদের আশাবাদ উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হয়েছে। এ পর্যবেক্ষণ ২০২৩ সালের আগস্টের পর সর্বোচ্চ। নভেম্বরের চূড়ান্ত পর্যবেক্ষণ ৬১ দশমিক তিন ছিল। সুতরাং, ডিসেম্বরের পর্যবেক্ষণ নভেম্বরের তুলনায় আট দশমিক এক পয়েন্ট দ্রুত বেড়েছে।

রয়টার্সের জরিপে অর্থনীতিবিদরা সূচকে সামান্য পুনরুদ্ধারের পূর্বাভাস দিয়েছিলেন, যা ৬২ পর্যন্ত ছিল। সুতরাং, ৬৯ দশমিক চার প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে গেছে।

জরিপের প্রধান জোয়ান সু জানান, মূল্যস্ফীতির পূর্বাভাস ইতিবাচক থাকার কারণে ডিসেম্বরে ভোক্তা আস্থা ১৩ শতাংশ বেড়েছে, যা গেল চার মাসের পতনের বিপরীতে।

বর্তমান অবস্থার অংশটি ৬৮ দশমিক তিন থেকে বেড়ে ৭৪-এ পৌঁছেছে। আর প্রত্যাশা ছিল ৬৬ দশমিক চার-এ।

ক্রেতারা আগামী বছরের মূল্যস্ফীতি তিন দশমিক এক শতাংশে নেমে আসবে বলে আশা করছে, যা ২০২১ সালের মার্চের পরে সর্বনিম্ন। এটা এক দশমিক চার পয়েন্ট কমেছে।

পাঁচ বছরের মূল্যস্ফীতির পূর্বাভাস গড়ে দুই দশমিক আট শতাংশে নেমে এসেছে, যা নভেম্বরে তিন দশমিক দুই শতাংশ ছিল, এটা তিন মাসের সর্বনিম্ন। ২০১১ সালের নভেম্বরে এটা সর্বোচ্চ একই সূচকে ছিল।

ফেডারেল রিজার্ভ সুদহার নির্ধারণের সময় এ ধরনের মনোভাবগুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে। কর্মকর্তারা মূল্যস্ফীতি কম দেখতে আগ্রহী, যাতে ভোগের আচরণ পরিবর্তন না হয়। মূল্যবৃদ্ধির গতি ধীর করার ক্ষেত্রে তারা যে অর্জন দাবি করছে, তা মুহূর্তে পাল্টে যেতে পারে।

মূল্যস্ফীতি কমে যাওয়ার লক্ষণগুলোর মধ্যে ফেডারেল রিজার্ভ আগামী সপ্তাহে বৈঠকে ডিসেম্বরের পাঁচ দশমিক ২৫ থেকে পাঁচ দশমিক ৫০ শতাংশ হারে সুদহার ধরে রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

মূলত মূল্যস্ফীতির কারণে ২০২০ সালের করোনা ভাইরাস সংকটের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি ও পরিবারগুলো তাদের অবস্থা খারাপ দেখছে। যদিও নিয়োগ রেকর্ড স্তরে ফিরে এসেছে, বেকারত্ব নিম্নস্তরে পৌঁছেছে, বেতন করোনা ভাইরাসের পূর্বের চেয়ে বেশি বাড়ছে ও প্রবৃদ্ধি শীর্ষে রয়েছে।