লিংকন, নিউজিল্যান্ড: রিশাদ হোসেনের অলরাউন্ড নৈপুন্যে নিউজিল্যান্ড সফরে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে জয় পেয়েছে সফরকারী বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) লিংকনে ৫০ ওভারের ম্যাচে বাংলাদেশ ২৬ রানে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড একাদশকে। ব্যাট হাতে ৫৪ বলে ৮৭ রান ও বল হাতে ৫২ রানে তিন উইকেট নেন রিশাদ। ব্যাটিংয়ে তানজিদ হাসান তামিম ৫৮, সৌম্য সরকার ৫৯ ও লিটন দাস ৫৫ রানের ইনিংস খেলেন। চার ব্যাটারের হাফ-সেঞ্চুরিতে প্রথমে ব্যাট করে ৩৩৪ রান করে বাংলাদেশ। উত্তরে ৩০৮ রানে অলআউট হয় নিউজিল্যান্ড একাদশ।
নিউজিল্যান্ডের লিংকনে প্রথমে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশকে ৪৩ বলে ৪৭ রানের সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার তানজিদ হাসান ও এনামুল হক বিজয়। জুটিতে চারটি চার ও একটি ছক্কায় ২৬ বলে ৩৩ রান করে প্রথম ব্যাটার হিসেবে আউট হন বিজয়। এরপর তিন নম্বরে নামা সৌম্য সরকারকে নিয়ে দ্রুত রান তুলতে থাকেন তানজিদ। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৭৫ বল খেলে ১০১ রান যোগ করেন তানজিদ-সৌম্য। তানজিদ ৪০ বলে ও সৌম্য ৪৯ বলে হাফ-সেঞ্চুরি করেন। হাফ-সেঞ্চুরির পর দুইজনের কেউই ইনিংস বড় করতে পারেননি। ২০তম ওভারে দলীয় ১৪৮ রানে দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে আউট হন পাঁচটি চার ও চারটি ছক্কায় ৪৬ বলে ৫৮ রান করা তানজিদ। ২৩তম ওভারে সাজঘরে ফিরেন আটটি চার ও একটি ছক্কায় ৫৬ বলে ৫৯ রানের ইনিংস খেলা সৌম্য। পাঁচ নম্বরে ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেননি তাওহিদ হৃদয়। পাঁচ বল খেলে খালি হাতে ফিরেন তিনি। উইকেটে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি ছয় নম্বরে নামা আফিফ হোসেনও। ১৩ বল খেলে দশ রান করেন তিনি। ২৯তম ওভারে ১৮৪ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ষষ্ঠ উইকেটে রিশাদ হোসেনকে নিয়ে রানের চাকা সচল করেন লিটন দাস। জুটিতে ৫৯ বলে ৭০ রান আসার পর বিচ্ছিন্ন হন তারা। পাঁচটি চার ও একটি ছক্কায় ৬৩ বলে ৫৫ রান করেন লিটন। ৩৯তম ওভারে দলীয় ২৫৪ রানে লিটন ফেরার পর ব্যাট হাতে ঝড় তুলেন রিশাদ। ৩৪ বলে হাফ-সেঞ্চুরি করেন তিনি। ইনিংসের শেষ ওভারের পঞ্চম বলে শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হবার আগে ৮৭ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন রিশাদ। ৫৪ বলের ইনিংসে ১১টি চার ও চারটি ছক্কা মারেন তিনি। এতে ৪৯ দশমিক পাঁচ ওভারে ৩৩৪ রানের বড় সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ড একাদশের সম্রাট সিং ৭৩ রানে চার উইকেট নেন।
উত্তর দিতে নেমে ৮০ রানে চার উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড একাদশ। এরপর অধিনায়ক ভরত পপলি ও সন্দীপ প্যাটেলের জোড়া হাফ-সেঞ্চুরিতে লড়াইয়ে ফিরে স্বাগতিকরা। হাফ-সেঞ্চুরির পর সেঞ্চুরির দিকে এগোতে থাকেন তারা। আফিফের বলে বোল্ড হয়ে থামেন ৯০ বলে ১৩টি চারে ৯২ রান করা পপলি। পপলির পর ৪২তম ওভারে প্যাটেলকেও শিকার করেন আফিফ। ১১টি চার ও দুটি ছক্কায় ৭৭ বলে ৮৯ রান করেন প্যাটেল। শেষ পর্যন্ত ৪৯ দশমিক দুই ওভারে ৩০৮ রানে অলআউট হয় নিউজিল্যান্ড একাদশ। বাংলাদেশের রিশাদ ৫২ রানে তিনটি, আফিফ ১৮ রানে ও হাসান ৩৬ রানে দুটি করে উইকেট নেন।
আগামী ১৭ ডিসেম্বর থেকে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরু করবে বাংলাদেশ। পরের দুটি ওয়ানডে হবে ২০ ও ২৩ ডিসেম্বর। এরপর ২৭, ২৯ ও ৩১ ডিসেম্বর তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড।