ডানেডিন, নিউজিল্যান্ড: বোলিংয়ে শেষ দিকে ছন্দহীনতা ব্যাটিংয়েও তাড়া করল বাংলাদেশকে। বিশেষ করে ইনিংস শুরু করে বড় করতে না পারার ব্যর্থতা পোড়াবে বাংলাদেশের ব্যাটারদের। প্রথম ওয়ানডে ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে নিউজিল্যান্ডের দেয়া ২৪৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় বাংলাদেশের ইনিংস থেমেছে রানে ২০০ রানে।
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাতে তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথমটিতে ৪৪ রানে জিতে এগিয়ে গেল নিউজিল্যান্ড। ব্যাটিংয়ে শুরু থেকেই ধুঁকেছে বাংলাদেশ। প্রথম ওভারেই ফেরেন সৌম্য সরকার। অ্যাডাম মিলনের বলে স্লিপে টম ল্যাথামের বলে ক্যাচ দিয়ে কোন রান না করেই আউট হন এই বাঁহাতি ওপেনার। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে নাজমুল হোসেন শান্তর সাথে এনামুল হক বিজয়ের ৪৬ রানের জুটি।
জুটিটা যখন আরো বড় হবে ভাবা হচ্ছিল, তখন ইশ সোধিকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হয়েছেন নাজমুল। ১৫ রান করেছেন তিনি। তৃতীয় উইকেটে এনামুলের সাথে লিটন দাসের জুটিটাও পূর্ণতা পাওয়ার আগে ভেঙেছে। জশ ক্লার্কসনের শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে খাড়া ওপরে ক্যাচ তুললেন এনামুল। নিজেই সে ক্যাচ নিয়েছেন ক্লার্কসন। ৩৯ বলে ৪৩ রানে থেমেছে এই ওপেনারের ইনিংস।
ক্লার্কসনের পরের ওভারে উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন দারুণ খেলতে থাকা লিটনও। ১৯ বলে ২২ রান করেছেন তিনি। এরপর রাচিন রবীন্দ্রর বলে চার রান করে আউট হয়েছেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমও।
১০৩ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর কিছুটা লড়াইয় কমিয়ে তোলেন আফিফ হোসেন ও তাওহিদ হৃদয়। দুইজনের ৫৬ রানের জুটি ম্যাচ জয়ের আশাও জাগিয়ে তুলেছিল। কিন্তু, ৩৩ রানে তাওহিদ আউট হলে ম্যাচের ভাগ্য অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায়।
জ্যাকব ডাফির বলে আফিফের ইনিংসও থামে ৩৮ রানে। এরপর আর বেশি এগোয়নি বাংলাদেশের ইনিংস। নয় উইকেটে ২০০ রানে থেমেছে তাদের ইনিংস। এর আগে ৩০ ওভারের ম্যাচে কিউইরা সাত উইকেট ২৩৯ রান করে। ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে বাংলাদেশের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৪৫ রান। তিন ধাপে বৃষ্টি হানা দিয়েছে ম্যাচে। টসের পর প্রথম দফা এক ঘণ্টা দশ মিনিট দেরিতে শুরু হয়েছিল ম্যাচ। সে যাত্রায় ওভার কমেছিল চারটি। দ্বিতীয় দফা ফের বৃষ্টি নামে ম্যাচের ১৪তম ওভারের পঞ্চম বলে। তখন ওভার কমে ছয়টি। তৃতীয় ধাপে বৃষ্টির পর আরো দশ ওভার কমে আসে।
ইনিংসের প্রথম ওভারে দুই উইকেট হারানো নিউজিল্যান্ডকে বড় সংগ্রহ এনে দেয়ার মূল কৃতিত্ব টম ল্যাথাম ও উইল ইয়াংয়ের। তৃতীয় উইকেট জুটিতে দুইজন যোগ করেন রান ১৭১ রান। ল্যাথামকে ৯২ রানে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে, মার্ক চ্যাপম্যানকে নিয়ে বাংলাদেশের বোলারদের ওপর দিয়ে ঝড় বইয়ে দেন ইয়াং। চতুর্থ উইকেটে মাত্র ২২ বলের জুটিতে দুইজন তোলেন ৫৪ রান। ১১ বলে দুই ছক্কা ও এক চারে ২০ রান করে রানআউট হয়েছেন চ্যাপম্যান।
তবে, ইয়াং থামেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি পূর্ণ করে। রানআউট হওয়ার আগে ৮৪ বলে ১৪ চার ও চার ছক্কায় ১০৫ রান করেছেন এই ওপেনার। এরপর রানআউটে আরো দুই উইকেট হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড। শেষ দশ ওভারে ১২৮ রান করেছে স্বাগতিকরা। এটাই ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিয়েছে।