নেলসন, নিউজিল্যান্ড: এশিয়ান ব্যাটসম্যান হিসেবে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড নিজের করে নিয়েছে সৌম্য সরকার। নেলসনে বুধবার (২০ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় ভোর চাটায় সৌম্য ১৬৯ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন; যা ওয়ানডেতে যে কোন এশিয়ান ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের ইনিংস।
পূর্বের সর্বোচ্চ রান ছিল শচীন টেন্ডুলকারের। ২০০৯ সালে স্বাগতিক দলের বিপক্ষে ১৬৩ রানে অপরাজিত ছিলেন শচীন।
নেলসনের স্যাক্সটন ওভালে কোন ব্যাটারই যখন উইকেটে থিতু হতে পারছিলেন না, নিউজিল্যান্ডের মাটিতে বাংলাদেশি ব্যাটার হিসেবে সবচেয়ে বড় ইনিংসটি খেলেছেন সৌম্য।
শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ২৯১ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। সৌম্য ১৫১ বলে একাই করেছেন ১৬৯ রান।
বাংলাদেশের ব্যাটারদের আউট হওয়ার শুরুটা হয় এনামুল হক বিজয়কে দিয়ে। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে দ্বিতীয় স্লিপে দাঁড়ানো টম লাথামকে ক্যাচ দেন তিনি। এডাম মিলনের বলে আউট হওয়ার পূর্বে ১২ বলে করেন দুই রান। নয় বলে ছয় রান করে ফ্লিক করতে গিয়ে কাভারে দাঁড়নো হেনরি নিকোলসের হাতে ক্যাচ দেন শান্ত। লোপ্পা ক্যাচ দিয়ে এই ডাফির করা পরের ওভারে ফিরে যান লিটন দাসও। ১১ বলে ছয় রান করে উইল ইয়াংয়ের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। ৪৪ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ফেলা বিপদে পড়ে যায় বাংলাদেশ। তরুণ তাওহীদ হৃদয় সাথী হন সৌম্য সরকারের। তাদের দুইজনের জুটিতে ধীরে ধীরে বড় হচ্ছিল রান। কিন্তু, এবার দুর্ভাগ্যই সাথী হয় বাংলাদেশের। ক্লার্কসনকে স্ট্রেইট ড্রাইভ করেন সৌম্য। সেটি বোলারের আঙুল ও ট্রাউজার ছুয়ে যায় নন স্ট্রাইক প্রান্তের স্টাম্পে। এগিয়ে থাকা হৃদয় আউট হয়ে যান ১৬ বলে ১২ রান করে। তবে, একপ্রান্তে ঠিকই হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন সৌম্য। শেষ পর্যন্ত এসে একজন ভাল সাথীও পেয়ে যান সৌম্য। মুশফিকুর রহিমের সাথে মিলে দলের বিপর্যয় সামাল দেন সৌম্য। এ দুইজনের জুটিতে ১০৮ বলে আসে ৯১ রান। ৫৭ বলে ৪৫ রান করে মুশফিক উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিলে এই জুটি ভাঙে। পরে সাথী বদলালেও সৌম্যর রানের গতি থামেনি। ২০১৮ সালের পর প্রথম বারের মত ওয়ানডে সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। সব মিলিয়ে ক্যারিয়ারে এটি তার চতুর্থ সেঞ্চুরি।