রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

মইনুল ইসলাম সংগঠনের অর্থ আত্মসাৎকারী; ফরক্লোজারে যাওয়ার পথে ‘কথিত জালালাবাদ ভবন’

শনিবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র: বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলাম সংগঠনের তিন লাখ ৩২ হাজার ডলার আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকার সভাপতি বদরুল খান ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রোকন হাকিম। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন তারা। গেল ১০ ডিসেম্বর জ্যাকসন হাইটসের মামা’স পার্টি হলে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান বদরুল হোসেন খান। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন রোকন হাকিম।

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলা হয়, ‘মইনুল ইসলাম জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে নিয়ম বর্হিভূতভাবে জালালাবাদ এসোসিয়েশননের অর্থ তুলে ‘কথিত জালালাবাদ ভবন’ কেনে। এই অর্থ আদায়ে তারা আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন।’

সংগঠনের নেতারা আশা করছেন, আদালতের বিচারে জালালাবাদবাসী এই অর্থ ফেরত পাবে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘জালালাবাদের এসোসিয়েশনের তিন লাখ ৩২ হাজার ডলার তুলে মইনুল ইসলাম যে বাড়িটি কিনেছিল, তা নিলামে উঠতে যাচ্ছে। ব্যাংক গেল আট মাসে মইনুল ইসলামের কাছ থেকে মর্টগেজ না পাওয়ায় তা ফরক্লোজারে যাওয়ার পথে। এ অবস্থায় জালালাবাদ এসোসিয়েশনের প্রায় সোয়া তিন লাখ ডলার নিয়ে উদ্বিগ্ন তারা।’

সংবাদ সম্মেলনে বদরুল খান বলেন, ‘মইনুল ইসলাম ‘কথিত জালালাবাদ ভবন’ এর বাড়িটি কেনার সময় অবৈধভাবে জালালাবাদ এসোসিয়েশনের ফান্ড থেকে তিন লাখ ৩২ হাজার ডলার তুলে ডাউন পেমেন্ট দেন। বাড়িটি কেনার সময় সংগঠনের তহবিল থেকে অর্থ নেয়ায় আমরা লিয়েন হিসেবে দাবি করি। কিন্তু, মইনুল ইসলাম গেল আট মাস ধরে মর্টগেজ না দেয়ায় বাড়িটি ফরক্লোজারে যাওয়ার অবস্থা হয়েছে। তার কাগজপত্র আমরা ব্যাংক থেকে পেয়েছি। আর বাড়িটি ব্যাংক নিয়ে নিলে জালালাবাদ এসোসিয়েশন অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।’

প্রশ্নের উত্তরে রোকন হাকিম বলেন, ‘মইনুল ইসলামের অর্থ কেলেংকারির ব্যাপারটি আদালতে বিচারাধীন। আশা করি, সহসাই এর নিষ্পত্তি হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে এসোসিয়েশনের ট্রাস্টি বদরুন নাহার খান মিতা, সদরুন নুর, সহ সভাপতি মোহাম্মাদ লোকমান হোসেন লুকু, সফিউদ্দিন তালুকদার, কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলিম, প্রচার ও দপ্তর সম্পাদক ফয়সাল আলম, ক্রীড়া সম্পাদক মান্না মুনতাসির, কার্যকরী সদস্য শামীম আহমদ, সাবেক সভাপতি আজমল হোসেন কুনু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজবাহ মজিদ, আহমেদ জিলু, জুনেদ এ খান, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার আতাউর রহমান সেলিম, সাবেক ট্রাস্টি নাসির উদ্দীন উপস্থিত ছিলেন।