রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

ইসরাইলের প্রতি সমর্থন: আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের!

রবিবার, ডিসেম্বর ২৪, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

ওয়াশিংটন, যুক্তরাষ্ট্র: প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ‘আমেরিকা ফিরে এসেছে’- এমন শপথ নিয়ে প্রায় তিন বছর ক্ষমতায় থাকার পর তার প্রশাসন ইসরায়েল- হামাস যুদ্ধে ইসরাইলকে সমর্থন দিয়ে যাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। যুদ্ধ থামানোর আহ্বানে পূর্বের দুটি প্রস্তাবে ভেটো দেয়ার পরে, শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) কঠোর আলোচনার পর দুর্দশাগ্রস্ত গাজা উপত্যকার জন্য মানবিক সহায়তার ব্যাপারে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অপর একটি প্রস্তাবে যুক্তরাষ্টের অনাস্থা দেশটিকে আরো বেশি বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে।

ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জাপানের মত কিছু ঘনিষ্ঠ মিত্রের কাছ থেকে আলাদা হয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মিত্র দেশগুলো এই প্রস্তাবে সমর্থন দিলেও যুক্তরাষ্ট তা থেকে বিরত থেকেছে। অথচ তাদের সাথে যোগ দিয়েছে রাশিয়া।

সপ্তাহ পূর্বে যুক্তরাষ্ট্র মাত্র দুই ইউরোপীয় অংশীদার, অস্ট্রিয়া ও চেক প্রজাতন্ত্রের সঙ্গে সাধারণ পরিষদের পূর্ণ অধিবেশনে যোগ দেয় এবং ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের উপর হামাসের হামলার ফলে সৃষ্ট যুদ্ধে বিরতির আহ্বানের বিরুদ্ধে এশিয়ান মিত্রদের কেউই ভোট দেয়নি।

লন্ডনের চ্যাথাম হাউসের যুক্তরাষ্ট্র ও আমেরিকা প্রোগ্রামের পরিচালক লেসলি ভিনজামুরি বলেন, ‘বেশিরভাগ ইউরোপীয় নীতিনির্ধারক যুক্তরাষ্ট্রের কথা উঠলে রাশিয়ার আগ্রাসনেরর বিরুদ্ধে ইউক্রেনের প্রতি বাইডেনের জোরালো সমর্থনের কথা মনে করেন।’

লেসলি ভিনজামুরি বলেন, ‘ব্যাপারটি এখন পৃথিবীর বাকি অংশে যেভাবে ভাবছে, তা হলো, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলিদের ব্যাপারে চিন্তা করে, ইউক্রেনীয়দের ব্যাপারে চিন্তা করে, তবে দুর্ভাগ্যবশত, বাদামী মানুষের (যাদের গায়ের রং সাদা নয়) ব্যাপারে সত্যিই চিন্তা করে না।’

তিনি বলেন, ‘এ জাতীয় আখ্যান তারা আপত্তি হিসেবে নিচ্ছে।’

বাইডেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন, ‘তাদের নেপথ্যের চাপ ফল দিচ্ছে।’

ইসরায়েল জ্বালানি, ইন্টারনেট অ্যাক্সেস পুনরুদ্ধার ও গাজায় ক্রসিং খোলার ব্যাপার এগিয়ে যাচ্ছে।

গ্যালাপ ইন্টারন্যাশনালের মধ্যপ্রাচ্যের পরিচালক মুনকিথ দাঘের বলেন, ‘গেল মাসে আরব জনসাধারণের উপর পরিচালিত জরিপে দেখা যায়, মাত্র সাত শতাংশ বিশ্বাস করে, যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করেছে।’