সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

নির্বাচন বর্জন/ঢাকার বিভিন্ন স্পটে জামায়াতের গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ

মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ২৬, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মজলিসে শূরা সদস্য ফখরুদ্দিন মানিক বলেছেন, ‘সরকার দেশের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ নির্বাসনে পাঠিয়ে দেশকে ফ্যাসীবাদী ও মাফিয়াতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। তারা নিজেদের অবৈধ ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার জন্য জনগণের রক্তের ওপর দিয়ে ভাঙা কিস্তি ভাসাতে চায়। কিন্তু, জনগণ বাকশালী ঘুঘুদের বার বার ধান খাওয়ার সুযোগ দেবে না। বরং, যে কোন দামে সরকারের স্বপ্নের বাস্তিল দুর্গের পতন ঘটিয়েই ছাড়বে- ইনশাআল্লাহ।

মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) মিরপুরের কাজীপাড়া, মনিপুর, শেওড়াপাড়া ও তালতলা এলাকায় প্রহসনের নির্বাচন বর্জন, ভোটারদের ভোটদান থেকে বিরত, বিরোধীদল বিহীন কথিত নির্বাচন প্রত্যাখান এবং দেশের হারানো গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে কেন্দ্র ঘোষিত গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির অংশ হিসাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।

ফ্যাসীবাদী ও বিনাভোটের সরকারের পতনের লক্ষ্যে রাজপথে যে কোন ত্যাগ স্বীকারে সবাইকে প্রস্তুত থাকার আহবান জানান ফখরুদ্দিন মানিক।

ঢাকা মহানগরী উত্তরের মজলিসে শূরা সদস্য আব্দুল মতিন খান, জামায়াতের নেতা আতিক হাসান, নেসার উদ্দিন, আবু আঈমান, আবুল হাসেম, গিয়াস উদ্দিন আবু নাছের এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

ফখরুদ্দিন মানিক আরো বলেন, ‘সরকার রাষ্ট্রীয় শক্তির অপব্যবহার ও পেশিশক্তির জোরে গণতন্ত্রপ্রিয় জনগণের ওপর জুুলুম-নির্যাতন চালিয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা কুক্ষিগত করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। কিন্তু, ইতিহাস সাক্ষী- এসব করে অতীতে কোন অগণতান্ত্রিক, স্বৈরাচারি ও ফ্যাসীশক্তির শেষ রক্ষা হয়নি; আর হবেও না। অতীতে মহাপরাক্রমশালী ফেরাউন, নমরূদ আর হামানরা নিজেদের ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়েছে। কিন্তু, এসব স্বৈরাচারিরা ইতিহাসের আস্তাকূঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়ে কালের গর্ভে হারিয়ে গেছে। কাছের অতীতেও নিকোলাই চসেস্কুর মত অনেক স্বৈরাচারকেও নির্মম পরিণতি বরণ করতে হয়েছে।’

তিনি সরকারকে সময় থাকতে শুভবুদ্ধির পরিচয় দিয়ে ডামী ও তামাশার নির্বাচন বন্ধ, সরকারকে দ্রুত পদত্যাগ ও তত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহবান জানান। অন্যথায় সরকারকে ইতিহাসের নির্মম পরিণতি বরণ করতে হবে।

দক্ষিণখান পশ্চিম থানার বিভিন্ন স্পটে গণসংযোগ ও লিফলেট বিলি: কেন্দ্র ঘোষিত গণসংযোগ কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দক্ষিণখান পশ্চিম থানার পক্ষ থেকে নানা স্পটে পথচারী, ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে লিফলেট বিলি করা হয়। ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য মুহাম্মদ জামাল উদ্দিনের নেতৃত্বে পরিচালিত এ কর্মসূচিতে ঢাকা মহানগরী উত্তরের মজলিসে শুরা সদস্য এএস শাহনেওয়াজ, এমএন কবির, শ্রমিক নেতা আবদুল হালিম, ছাত্রনেতা জুলকারনাইম উপস্থিত ছিলেন।

হাতিরঝিল থানার নানা স্পটে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ: কেন্দ্র ঘোষিত ২৬, ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের উদ্যোগে নয়াটোলা, মিরবাগ, মধুবাগ, পশ্চিম হাজীপাড়াসহ নানা মহল্লায় গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম হয়েছে। সংগঠনের ঢাকা মহানগরী উত্তরের প্রচার-মিডিয়া সম্পাদক আতাউর রহমান সরকারের নেতৃত্বে ঢাকা মহানগরী উত্তরের মজলিসে শূরা সদস্য এমএইচ রহমান, জামায়াত আবু জর গিফারী, আব্দুর রহমান, এম আলী এতে উপস্থিত ছিলেন।

শেওড়াপাড়া-তালতলায় গণসংযোগ: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর উত্তরের কাফরুল অঞ্চলের কাফরুল দক্ষিণ থানার উদ্যোগে আয়োজনে মিরপুর শেওড়াপাড়া-তালতলা এলাকায় মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে নির্বাচনের নামে তামাশার প্রতিরোধ ও ভোট বর্জনের জন্য সাধারণ জনতার মাঝে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করা হয়। ঢাকা মহানগরী উত্তরের মজলিসে শুরার সদস্য আবু তৈয়বের নেতৃত্বে জামায়াতের নেতা মুসআব মুহাইমিন, নুরুল আমীন এতে উপস্থিত ছিলেন।

মিরপুর-১৪তে লিফলেট বিতরণ: মিরপুর-১৪ নাম্বার এলাকায় ঢাকা মহানগরী উত্তর জামায়াতের মজলিশে শুরা সদস্য দ্বীন মোহাম্মদ হাবিবের নেতৃত্বে ১৫ নম্বর দক্ষিণ ওয়ার্ডের উদ্যোগে ডামি নির্বাচন প্রত্যাখ্যানের আহ্বান জানিয়ে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করা হয়।