/ 
প্রিন্ট করুন
যুক্তরাষ্ট্র/ইসরায়েল: ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে বর্বর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। টানা আড়াই মাসের অধিক সময় ধরে চালানো এই হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছে ২০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। বর্বর এই আগ্রাসনের জেরে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পৃথিবীজুড়ে বাড়ছে ঘৃণা ও ক্ষোভ। তবে, এরপরও ইসরায়েলকে ২৩০টি কার্গো বিমান ও ২০টি জাহাজবোঝাই অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গাজায় সংঘাত শুরুর পর থেকে এসব অস্ত্র দিয়েছে দেশটি। খবর আনাদোলু আজানসি, ইয়েডিয়ট আহরনোথের।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) ইসরায়েলের সংবাদ মাধ্যমে বলা হয়েছে, ‘গেল ৭ অক্টোবর গাজায় সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ২৩০টি কার্গো প্লেন ও ২০টি অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জামবোঝাই জাহাজ ইসরায়েলে পাঠিয়েছে।’
ইসরায়েলকে পাঠানো বিপুল যুক্তরাষ্ট্রের এই সামরিক সহায়তার মধ্যে আর্টিলারি শেল, সাঁজোয়া যান ও সেনাদের জন্য মৌলিক যুদ্ধ সরঞ্জাম রয়েছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় গাজা উপত্যকায় বর্তমান যুদ্ধের ব্যয় ৬৫ বিলিয়ন শেকেল বা ১৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বলে অনুমান করেছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার বরাত সংবাদ মাধ্যম বলেছে, ‘যুদ্ধের শুরুতে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী তাদের গুদামগুলোতে থাকা অধিকাংশ গোলাবারুদ ব্যবহার করে ফেলে।’
সংবাদপত্রটি আরও বলেছে, ‘কিন্তু লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সঙ্গে একটি সম্ভাব্য বড় আকারের যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসেবে ইসরায়েল তার গুদামগুলো পুনরায় পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে।’
ইসরায়েলের সামরিক পরিসংখ্যান অনুসারে, গেল ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের সাথে সংঘর্ষে কমপক্ষে ইসরায়েলের ৪৮৯ সৈন্যের মৃত্যু হয়েছে।
বলে রাখা ভাল, গেল ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ব্যাপক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলের বাহিনী। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভূখণ্ডটিতে ইসরায়েলের হামলায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ২১ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। নিহতদের মধ্যে ১৪ হাজারের বেশি নারী ও শিশু। আহত হয়েছে আরো প্রায় ৫৫ হাজার ফিলিস্তিনি। ইসরায়েলের এই হামলা থেকে বাদ যাচ্ছে না গাজার কোন অবকাঠামো। তারা মসজিদ, গির্জা, স্কুল, হাসপাতাল, শরণার্থীশিবির, বেসামরিক মানুষের বাড়িঘর-সব জায়গায় হামলা চালাচ্ছে।
