রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

গোপন মিশন/মহাকাশে রোবটিক স্পেসপ্লেন ছুঁড়ল যুক্তরাষ্ট্র

শুক্রবার, ডিসেম্বর ২৯, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

ফ্লোরিডা, যুক্তরাষ্ট্র: মহাকাশে রোবটিক স্পেসপ্লেন উৎক্ষেপণ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) ফ্লোরিডায় নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে রোবটিক স্পেসপ্লেনটি উৎক্ষেপণ করা হয়। খবর আল জাজিরার।

এক্স-৩৭বি রোবটিক স্পেসপ্লেনটি মূলত যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর গোপন মিশন। এর পূর্বে, অন্তত ছয় বার স্পেসপ্লেন উৎক্ষেপণ করেছে তারা। বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) ছিল সপ্তম স্পেসপ্লেন উৎক্ষেপণ।

স্পেসপ্লেন উৎক্ষেপণে এবারই প্রথম স্পেসএক্স ফ্যালকন হেভি রকেট ব্যবহার করা হয়েছে। ফ্যালকন হেভি রকেট তিনটি তরল-জ্বালানিযুক্ত রকেট কোরের সমন্বয়ে গঠিত। রকেটটি এ স্পেসপ্লেনকে পূর্বের চেয়ে উচ্চতর গতিতে কক্ষপথে পৌঁছে দিতে সক্ষম হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

দুই সপ্তাহ পূর্বে চীন নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি রোবটিক স্পেসপ্লেন মহাকাশে উৎক্ষেপণ করেছে। চীনের রোবট স্পেসপ্লেনটি শেনলং বা ডিভাইন ড্রাগন নামে পরিচিত। চীনের পরই যুক্তরাষ্ট্রও তাদের স্পেসপ্লেন পাঠালো। এর মাধ্যমে মহাকাশে দেশ দুটির ক্রমবর্ধমান প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নতুন মাত্রা যোগ করল।

এক্স-৩৭বি ২০২০ সালের পর থেকে মহাকাশে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর তৃতীয় মিশন। মিশন সম্পর্কে খুব কমই তথ্য প্রকাশ করেছে দেশটির প্রতিরক্ষা বিভাগ পেন্টাগন।

এই মিশন বছরের পর বছর স্থায়ী হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে ও সামরিক বাহিনীর ন্যাশনাল সিকিউরিটি স্পেস লঞ্চ কর্মসূচির অধীনে যুক্তরাষ্ট্রের স্পেস ফোর্সের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। বোয়িং-নির্মিত এই স্পেসপ্লেনটি প্রায় নয় মিটার (২৯ ফুট) লম্বা ও একটি মিনি স্পেস শাটলের মত। মনুষ্যবিহীন মহাকাশযানটি নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম মিশনটি ছিল ২০১০ এ। এরপর ২০২০ এ আরো বেশ কয়েকটি মিশন চালানো হয়। ফ্লাইটগুলো দুই হাজার কিলোমিটার (এক হাজার ২০০ মাইল) নীচের উচ্চতায় নিম্ন-পৃথিবী কক্ষপথে সীমাবদ্ধ ছিল।

পেন্টাগন তার সবশেষ মিশনের সময় স্পেসপ্লেনটি কতটা উঁচুতে উড়বে তা জানায়নি। গেল মাসে বিবৃতিতে এয়ার ফোর্স র‍্যাপিড ক্যাপাবিলিটি অফিস বলেছে, ‘এটি নতুন অরবিটাল রেজিমগুলোর পরীক্ষা ও ভবিষ্যতের মহাকাশ ডোমেইন সচেতনতা প্রযুক্তি নিয়ে পরীক্ষা করবে।’

এক্স-৩৭বি মহাকাশের পরিবেশে উদ্ভিদের বীজ কীভাবে প্রভাবিত হয়, তা জানার জন্যও পরীক্ষা চালাবে বলে জানানো হয়েছে। তবে, মিশনটির পরিকল্পিত সময়কালও স্পষ্ট করা হয়নি। এটি সম্ভবত ২০২৬ এর জুন পর্যন্ত বা তার পরও চলবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এর পূর্বের মিশনটি আড়াই বছর পর্যন্ত স্থায়ী হয়েছিল।