ঢাকা: গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আদালতের রায়ের নিন্দা জানিয়েছে বিএনপি। দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘গণভবনের নির্দেশিত এই রায়ে গোটা জাতি লজ্জিত।’
সোমবার (১ জানুয়ারি) ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘শেখ হাসিনার প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন মুহাম্মদ ইউনূস।’
তিনি আরো বলেন, ‘শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে কথিত মামলায় শেখ হাসিনার নির্দেশে মুহাম্মদ ইউনূসকে ছয় মাসের কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। গণভবনের এই রায়ে পুরো জাতি লজ্জিত। আমরা এই রায়ের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার ক্রমাগত বিষাক্ত মন্তব্য ও তাকে নানা হুমকি প্রমাণ করেছে যে, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে এই রায় দেয়া হয়েছে।
২০২২ সালের ১৮ মে আলোচনা সভার উদ্বৃতি দিয়ে রিজভী বলেন, ‘শেখ হাসিনা বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পদ্মা নদীতে ফেলে হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন।’
বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘তিনি (শেখ হাসিনা) মুহাম্মদ ইউনূসকে পদ্মা সেতু থেকে পানিতে ফেলে দেয়ার হুমকিও দেন। তখন থেকেই এটা স্পষ্ট হয়ে যায় যে, মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতারা লাখ লাখ কোটি টাকা লুট পাট করে বিদেশে পাচার ও আত্মসাৎ করলেও তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।’
রিজভী বলেন, ‘জাতির গর্ব ইউনূসকে সুপরিকল্পিতভাবে সাজানো রায়ে দণ্ড দেয়া হয়েছে।’
সোমবার (১ জানুয়ারি) শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় বাংলাদেশের নোবেল জয়ী মুহাম্মদ ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের তিন শীর্ষ কর্মকর্তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা।
ইউনূসের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আপিলের শর্তে আদালত সকলকে এক মাসের জামিন দিয়েছেন।’
অসন্তোষ প্রকাশ করে আল মামুন বলেন, ‘আমরা ন্যায়বিচার পাইনি ও হাইকোর্টে আপিল করব।’
২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে মামলাটি করেছিলেন।