রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

রাশিয়াকে ঠেকাতে যুক্তরাজ্যে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করবে যুক্তরাষ্ট্র

শনিবার, জানুয়ারী ২৭, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

ওয়াশিংটন, যুক্তরাষ্ট্র: রাশিয়ার হুমকি ঠেকাতে যুক্তরাজ্যে প্রথম বারের মত পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। পেন্টাগনের নথিপত্র যাচাই করে যুক্তরাজ্যের সংবাদ মাধ্যম টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ তথ্য।

সাফোকের আরএএফ লেকেনহেথে যুক্তরাষ্ট্র পারমাণবিক ওয়ারহেডগুলো মোতায়েনের কথা ভাবছে; যা সক্ষমতার দিক থেকে জাপানের হিরোশিমায় নিক্ষিপ্ত বোমার চেয়ে প্রায় তিনগুণ শক্তিশালী।

এর পূর্বে, যুক্তরাজ্যে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। পরে, রাশিয়ার পক্ষ থেকে স্নায়ুযুদ্ধের হুমকি বন্ধ হওয়ার পর ২০০৮ সালে সেগুলো সরিয়ে নেয় দেশটি।

সম্প্রতি রাশিয়ার বিরুদ্ধে ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর যুদ্ধের প্রস্তুতি নেয়ার হুমকির পর নয়া করে সেখানে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিল যুক্তরাষ্ট্র।

নথিপত্র থেকে জানা যায়, ১৫ বছরের মধ্যে প্রথম বারের মত সাফোকের আরএএফ লেকেনহেথের রয়্যাল এয়ার ফোর্স স্টেশনে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করবে যুক্তরাষ্ট্র।

শত্রুপক্ষের আক্রমণ থেকে সামরিক কর্মীদের রক্ষার জন্য ব্যালিস্টিক শিল্ডসহ নয়া বেশকিছু সরঞ্জামও রাখবে যুক্তরাষ্ট্র। লেকেনহেথের নিকট ৫০ কিলোটনের বি৬১-১২ গ্র্যাভিটি বোমাও থাকবে; যার ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা হিরোশিমায় ফেলা পারমাণবিক বোমার চেয়েও তিন গুণ বেশি।

এ দিকে, গেল সপ্তাহে ন্যাটোর শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা অ্যাডমিরাল রব ব্যুয়ের ঘোষণা দেন যে, আগামী ২০ বছরের মধ্যে বেসামরিক নাগরিকদের রাশিয়ার বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধের প্রস্তুতি নেয়া প্রয়োজন।

যুক্তরাজ্যের সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল স্যার প্যাট্রিক স্যান্ডার্স বলেন, ‘রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ লাগলে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি বেসামরিক মানুষদেরও যুদ্ধ করার প্রয়োজন হতে পারে।’

প্যাট্রিকের এ আহ্বানকে সমর্থন জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। যুক্তরাজ্যের সেনাবাহিনীর পরিসর ছোট উল্লেখ করে বেসামরিক নাগরিকদেরও যুদ্ধের প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।