/ 
প্রিন্ট করুন
জর্ডান: জর্ডানে যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটিতে ড্রোন হামলার দায় স্বীকার করেছে ইরাকের একটি প্রতিরোধ গোষ্ঠী। গোষ্ঠীটি নিজেদের ‘ইসলামিক রেজিস্ট্যানস’ দাবি করে বলেছে, ‘ফিলিস্তিনের গাজায় ‘ইসরাইলের হত্যাযজ্ঞের উত্তর’ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের চার ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে।
রোববার (২৮ জানুয়ারি) জর্ডানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সিরিয়া সীমান্তের নিকটে যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটিতে ড্রোন হামলার এ ঘটনা ঘটে। এতে যুক্তরাষ্ট্রের তিন সৈন্য নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো ৩৪ জন।
এ হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র সচিব ডেভিড ক্যামেরুন ইরান সমর্থিত বিভিন্ন গোষ্ঠীকে দায়ী করেছেন।
বাইডেন বলেছেন, ‘ইরান সমর্থিত উগ্র সশস্ত্র গোষ্ঠী এ হামলা চালিয়েছে।’
তবে, ক্যামেরন ও বাইডেনের অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে ইরান। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) বার্তা সংস্থা আইআরএনকে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানির বলেন, ‘আমরা পূর্বেও বলেছি, আর এখনো বলছি যে, বিরোধী গোষ্ঠীগুলো এ অঞ্চলে সংঘটিত গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধের বিরুদ্ধে কাজ করে। তারা ইরানের সরকার থেকে কোন ধরনের আদেশ গ্রহণ করে না।’
ড্রোন হামলা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের বক্তব্য পাল্টা বক্তব্যের মধ্যে হামলার দায় স্বীকার করল ইরাকের গোষ্ঠীটি। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) গোষ্ঠীটির পক্ষ থেকে প্রকাশিত আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইরাকে এবং এ অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের দখলদার বাহিনীকে প্রতিহত করার জন্য আমাদের যুদ্ধ অব্যাহত রয়েছে।’
আরো বলা হয়েছে, ‘গাজায় আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে জায়নবাদী রাষ্ট্রের গণহত্যার প্রতিক্রিয়ায় ইরাকের ইসলামিক প্রতিরোধ যোদ্ধারা রোববার (২৮ জানুয়ারি) ভোরে চার শত্রু ঘাঁটি ড্রোন হামলা চালিয়েছে। যার তিনটি সিরিয়ায় ও চতুর্থটি আমাদের অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের ভিতরে।’
গাজায় ইসরাইলের আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে গোষ্ঠীটি ইরাক ও সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের অবস্থান ও ঘাঁটিতে কয়েক ডজন হামলার দায় স্বীকার করেছে।
তবে, এসব হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের কোন সৈন্য নিহত হয়নি। জর্ডানেই প্রথম হতাহতের ঘটনা ঘটলো। এ হামলার কঠোর উত্তর দেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাইডেন। বলেছেন, ‘কোন সন্দেহ নেই, হামলায় দায়ীদেরকে সময় মত ধরব আমরা।’
