মায়ানমার: মায়ানমারে জরুরি অবস্থার মেয়াদ ফের ছয় মাস বাড়িয়েছে দেশটির সামরিক সরকার। এর ফলে, অভ্যুত্থানের পর জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইংয়ের দেয়া নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে আরও বিলম্ব হতে পারে। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দেশটির জাতীয় প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা পরিষদ এ সিদ্ধান্ত নেয়। তবে, বিলম্বে হলেও নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে জান্তা সরকার। খবর এএফপির।
মায়ানমার জান্তা বিবৃতিতে বলেছে, ‘মায়ানমারের জরুরি অবস্থার মেয়াদ ছয় মাস বাড়িয়েছেন দেশটির ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট ইউ মিন্ট সোয়ে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সন্ত্রাসীদের মোকাবিলা করার জন্য জরুরি অবস্থা জারি রাখতে হবে।’
দেশের বিভিন্ন স্থানে অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিরোধিতার মোকাবিলার অজুহাত দিয়ে বিভিন্ন সময় জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়িয়েছে জান্তা সরকার। বিলম্ব হলেও নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে জান্তা সরকার বলেছে, ‘নির্বাচন হবে।’
যদিও ২০০৮ সালের মায়ানমারের সামরিক খসড়া সংবিধান অনুসারে, জরুরি অবস্থা তুলে নেয়ার ছয় মাসের মধ্যে নতুন নির্বাচন করতে হবে।
একটি স্থানীয় পর্যবেক্ষক গোষ্ঠীর মতে, সামরিক বাহিনীর দমন অভিযানে চার হাজার ৪০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অং সান সুচির সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার সময় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে সামরিক বাহিনী। সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রপন্থিদের বিক্ষোভ কঠোরভাবে দমন করে জান্তা।