শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

পিতাকে খুন করে পুত্র বলল ‘আমি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট’

শুক্রবার, ফেব্রুয়ারী ২, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

পেনসিলভানিয়া, যুক্তরাষ্ট্র: নিজের পিতাকে গলা কেটে খুনের পর সেই ভিডিও ইউটিউবে প্রকাশ করেছেন ৩২ বছর বয়সী পুত্র। এমনকি খুনের শিকার ব্যক্তির কাটা মাথা দেখিয়ে রাজনৈতিক বক্তব্যও দিয়েছেন অভিযুক্ত। সংবাদ সিএনএনের।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ায় ঘটেছে চাঞ্চল্যকর এমন ঘটনা। এরপরই ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

পেনসিলভানিয়ার সরকারি কর্মকর্তা ও আদালতের নথির বরাতে জানা যায়, পিতার গলা কেটে সেই ভিডিও ইউটিউবে প্রকাশ করেন জাস্টিন মোন নামের ৩২ বছর বয়সী এক ব্যক্তি। কিছু সময় পর ওই ভিডিও সরিয়ে নেয় ইউটিউব। তবে, এর মধ্যেই ভিডিওটি দেখেন বহু মানুষ।

পরে, যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল গার্ড ঘাঁটির কাছ থেকে বন্দুকসহ জাস্টিনকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে হত্যা ও মৃত দেহকে অসম্মানসহ বেশ কিছু অভিযোগ আনা হয়েছে।

জাস্টিনের পিতা মাইকেল মোন যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরে কাজ করতেন। মাইকেলের শিরশ্ছেদের পর তার কাটা মাথা হাতে নিয়ে ভিডিও তৈরি করেন জাস্টিন। এ সময় তিনি দীর্ঘ রাজনৈতিক বক্তব্য দেন, যার মূল লক্ষ্যই ছিল বাইডেন প্রশাসন।

বক্তব্যে জাস্টিন নিজেকে ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট’ হিসেবেও দাবি করেন। জানান, সামরিক আইনের অধীনে তিনি এখন যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট। আর নিজের পিতা মাইকেলকে অভিহিত করেন ‘বিশ্বাসঘাতক’ হিসেবে।

এমন সময়ে এ ঘটনা ঘটল, যখন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তপ্ত ও যখন সামাজিক মাধ্যমের দায়িত্বশীলতা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। এ ব্যাপারে এফবিআইয়ের সাবেক উপপরিচালক ও সিএনএনের আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক বিশ্লেষক অ্যান্ড্রু ম্যাককেব বলছেন, ‘এটি ভীষণ উদ্বেগজনক। সামনে আমাদের জন্য ভীষণ উত্তেজনাকর এক রাজনৈতিক মৌসুম অপেক্ষা করছে।’

পেনসিলভানিয়ার বাকস কাউন্টির ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নির কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ধড় থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন এক পুরুষের (মাইকেল মোন) লাশ পাওয়ার সংবাদ আসে। নিহত ব্যক্তির স্ত্রী জরুরি সেবা নম্বরে ফোন করে ব্যাপারটি জানিয়েছিলেন।

পরে, ভিডিও থেকেই হত্যাকারী সম্পর্কে নিশ্চিত হয় পুলিশ। ভিডিওতে জাস্টিন মোন নিজের পরিচয় দিয়ে একটি লিখিত বিবৃতি পড়েন। এ সময় তিনি বলেন, ‘তার পিতা দেশের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।’ জাস্টিনের ভাষ্য, ‘যুক্তরাষ্ট্র একেবারে ভেতর থেকে পঁচে যাচ্ছে। অতিবামেরা আমাদের এক সময়ের সমৃদ্ধ শহরগুলোকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।’