শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

হামলা চালিয়ে বাইডেন বললেন, ‘যুদ্ধ চাই না’

শনিবার, ফেব্রুয়ারী ৩, ২০২৪

প্রিন্ট করুন
জো বাইডেন

ওয়াশিংটন, যুক্তরাষ্ট্র: জর্ডানে মার্কিন ঘাঁটিতে ড্রোন হামলার প্রতিশোধ নিতে ইরাক ও সিরিয়ায় অন্তত ৮৫টি স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের দাবি, এসব স্থাপনা ইরানের অভিজাত বাহিনী আইআরজিসি ও তার সাথে সম্পর্কিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো ব্যবহার করত। শুক্রবার (২ জানুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের এ হামলায় অন্তত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। সংবাদ আল-জাজিরার

হামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বিবৃতি প্রকাশ করেছে হোয়াইট হাউজ। এতে বলা হয়েছে, ‘যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ চায় না। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের কোন নাগরিকের ক্ষতি করলে তার উত্তর অবশ্যই দেয়া হবে।’

বিবৃতিতে বাইডেন বলেন, ‘গেল রোববার জর্ডানে আইআরজিসি সমর্থিত গোষ্ঠীর ড্রোন হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের তিন সৈন্য মারা যায়। শনিবার সকালে আমি ডোভার এয়ারফোর্স বেসে সেসব সাহসী সেনার মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনে অংশ নিয়েছিলাম। তাদের প্রত্যেকের পরিবারের সাথে কথা বলেছি।’

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জানান, বিকালে আমার নির্দেশনায় ইরাক ও সিরিয়ায় একাধিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে মার্কিন সামরিক বাহিনী। স্থাপনাগুলো আইআরজিসি ও তাদের সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী মার্কিন বাহিনীর ওপর হামলা চালাতে ব্যবহার করত।

বাইডেন আরও বলেন, ‘আজ আমাদের প্রতিক্রিয়া দেখানো শুরু হল। এটি (হামলা) আমাদের পছন্দমত সময় ও স্থান অনুযায়ী অব্যাহত থাকবে।’

এ দিকে, ইরাক-সিরিয়ায় ইরানি লক্ষ্যবস্তুতে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার ব্যাপারে এখনো কোন প্রতিক্রিয়া বা আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি ইরান। ধারণা করা হচ্ছে, এসব হামলায় কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে তারা।

তবে যে কোন হামলার চূড়ান্ত উত্তর দেয়ার জন্য ইরান প্রস্তুত বলে গেল বুধবার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন আইআরজিসির প্রধান হুসাইন সালামি।

২০২০ সালে ইরাকের রাজাধানী বাগদাদে ড্রোন হামলা চালিয়ে ইরানের শীর্ষ কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলায়মানিকে হত্যা করে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছিল ইরান।

গেল রোববার জর্ডানে ড্রোন হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের তিন সেনা নিহত ও আরও ৪০ জনের বেশি আহত হন। গেল ৭ অক্টোবর ইসরাইল-হামাস সংঘাত শুরুর পর থেকে মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনীর ওপর এটিই প্রথম প্রাণঘাতি হামলার ঘটনা।

রোববারের ওই হামলার দায় স্বীকার করেছে ‘ইসলামিক রেজিস্ট্যানস’ নামে ইরাকের একটি প্রতিরোধ গোষ্ঠী। তবে, যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, এর পেছনে ইরানের হাত ছিল।

যদিও হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, ‘এ মুহূর্তে ইরানের সাথে সরাসরি যুদ্ধে জড়াতে চায় না যুক্তরাষ্ট্র।’