শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

ইয়েমেনে হুথি অবস্থানে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের বাহিনীর তৃতীয় হামলা

রবিবার, ফেব্রুয়ারী ৪, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

ইয়েমেন: লোহিত সাগরে জাহাজে ইরান-সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীদের বার বার হামলার জবাবে ‍যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যেল বাহিনী শনিবার (৩ জানুয়ারি) ইয়েমেনে কয়েক ডজন অবস্থানে হামলা চালিয়েছে। জাহাজে হুথি বিদ্রোহীদের হামলায় বিশ্ব বাণিজ্য ব্যাহত ও জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। গেল ২৮ জানুয়ারি জর্ডানে যুক্তরাষ্ট্রের তিন সেনার মৃত্যুর প্রতিক্রিয়া হিসাবে ইরাক ও সিরিয়ায় ইরান-সম্পর্কিত লক্ষ্যবস্তু টার্গেট করে মার্কিন বাহিনীর একতরফা ধারাবাহিক হামলার এক দিন পরে মার্কিন ও বৃটিশ বাহিনী ইয়েমেনে এ যৌথ বিমান হামলা চালায়।

হুথিদের অবস্থানে এটি তৃতীয় বারের মত যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনীর যৌথভাবে বিমান হামলা। এছাড়াও, হুথিদের বিরুদ্ধে একের পর এক বিমান হামলা চালিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্রের বাহিন, তবে জাহাজে বিদ্রোহীদের আক্রমণ অব্যাহত রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অন্যান্য দেশগুলো সমর্থিত যৌথ বাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আন্তর্জাতিক ও বাণিজ্যিক জাহাজের পাশাপাশি লোহিত সাগরে চলাচলকারী নৌযানগুলোর বিরুদ্ধে হুথিদের অব্যাহত আক্রমণের প্রতিক্রিয়ায় সর্বশেষ হামলায় ইয়েমেনের ১৩টি স্থানে ৩৬টি হুথি লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত করেছে।’

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেছেন, ‘ইরান-সমর্থিত হুথি মিলিশিয়াদের বেপরোয়া ও অস্থিতিশীল হামলা চালানোর ক্ষমতাকে আরও ব্যাহত ও অবনমিত করার উদ্দেশ্যে এ হামলা চালানো হয়েছে।’

তিনি বিবৃতিতে বলেছেন, ‘জোট বাহিনী হুথিদের অস্ত্র মজুদ সুবিধা, ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ও লঞ্চার, বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং রাডারগুলোর সাথে যুক্ত ১৩ টি অবস্থানে হামলা চালিয়ে ধ্বংস করে দিয়েছে।’

অস্টিন কিংবা যৌথ বাহিনীর বিবৃতিতে নির্দিষ্ট কোন স্থানে আঘাত করা হয়েছে তা উল্লেখ করা হয়নি, তবে হুথিদের আল-মাসিরাহ টেলিভিশন বলেছে, ‘সানা ও অন্যান্য স্থানগুলো লক্ষ্য করে হামলা করা হয়েছে।’

যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয় বলেছে, ‘রয়্যাল এয়ার ফোর্স টাইফুন যুদ্ধবিমান দুটি গ্রাউন্ড কন্ট্রোল স্টেশনসহ লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে; যা হুথিদের আক্রমণ ও অনুসন্ধান ড্রোন উভয়ই পরিচালনায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) বলেছে, ‘যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনী শনিবার (৩ জানুয়ারি) এর পূর্বে পৃথকভাবে ছয়টি হুথি এন্টি-শিপ ক্ষেপণাস্ত্রের অবস্থানে হামলা চালায়, যেগুলো লোহিত সাগরে জাহাজের বিরুদ্ধে নিক্ষেপ করার জন্য প্রস্তুত ছিল।’

সামরিক কমান্ড শনিবার (৩ জানুয়ারি) আরও বলেছে, ‘যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনী ইয়েমেনে এবং তার কাছাকাছি এলাকায় দিনে আটটি ড্রোনগুলি করে ভূপাতিত করেছে এবং এর আগে উড্ডয়নের জন্য তৈরি আরও চারটি ড্রোন ধ্বংস করেছে।’

গাজায় ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে হুথিরা গেল নভেম্বরে লোহিত সাগরে ইসরায়েল-সংযুক্ত জাহাজে হামলা শুরু করে।

যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যেল বাহিনী হুথিদের বিরুদ্ধে হামলার উত্তর দেয়। এতে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যেল স্বার্থকেও বৈধ লক্ষ্য হিসেবে ঘোষণা করেছে হুথিরা।

শনিবারের (৩ জানুয়ারি) হামলার পর হুথি মুখপাত্র নাসর আল-দিন আমের বলেছেন, ‘হয় আমাদের, ফিলিস্তিন ও গাজায় শান্তি আছে, অথবা আমাদের অঞ্চলে আপনার জন্য কোন শান্তি বা নিরাপত্তা নেই।’

তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘আমরা ক্রমবর্ধমান হামলার সঙ্গে সমানভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলা করব।’