মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী ও সেনাবাহিনীর আরো ১১৬ সদস্যের বাংলাদেশে আশ্রয়

মঙ্গলবার, ফেব্রুয়ারী ৬, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

কক্সবাজার: মিয়ানমার অভ্যন্তরে সংঘাতের জেরে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি) ও সেনাবাহিনীর আরো ১১৬ সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এ নিয়ে দেশটির বিভিন্ন বাহিনীর মোট ২২৯ সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিল।

মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল আটটার দিকে বিজিবির সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম গণ মাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, বিজিপির আরো ১১৬ জনের অনুপ্রবেশ ঘটেছে। এর পূর্বেও মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির ১১৩ সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের রহমতবিল সীমান্ত দিয়ে ১১৬ সদস্য পালিয়ে আসে। এদের রহমতবিলস্থ বিজিবি ফাঁড়িতে আশ্রয় দেয়া হয়েছে।
পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানিয়েছেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘাত অনেক তীব্রতর হয়ে উঠেছে। বিস্ফোরণের শব্দে কাঁপছে সীমান্ত এলাকা। এ পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে রহমত বিল সীমান্ত দিয়ে ১১৬ জন বিজিপি ও সেনা বাহিনীর সদস্য পালিয়ে এসে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের (বিজিবি) কাছে আশ্রয় নিয়েছে। বিজিবির সদস্যরা এদের অস্ত্র, গোলাবারুদ জমা নিয়ে ফাঁড়িতে রেখেছেন। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন আহত রয়েছে বলে বিজিবির একটি সূত্র জানিয়েছে। তাদেরকে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।

মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোরে একই সীমান্ত দিয়ে আট রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে। এসব রোহিঙ্গাও বিজিবির হেফাজতে রয়েছে।

এ দিকে, আশ্রয় নেয়া সদস্যদের মধ্যে অনেকেই আহত। তাদের মধ্যে বিজিবির তত্বাবধানে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে এ পর্যন্ত নয়জনকে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে চারজনকে সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) মো. আশিকুর রহমান। আহত অন্যদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

এর পূর্বে, সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১ টার দিকে মিয়ানমার থেকে টেকনাফের উলুবনিয়া সীমান্তে দিয়ে পাঁচ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে। যাদের মিয়ানমানর ফেরত পাঠানো হয়েছে। এছাড়া, সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার থেকে তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায়ের আট নাগরিক অনুপ্রবেশ করে। তাদেরও বিজিবি হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।