ডেস্ক রিপোর্ট: নিরামিষভোজীরা শুধুমাত্র শাক-সবজি খায়। তবে, শরীর ঠিক রাখতে প্রয়োজন প্রোটিন। সব মানুষের সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে প্রয়োজন প্রোটিন। যারা নিরামিষভোজী, তাদের শরীরে বহু সময় প্রোটিনের ঘাটতি হয়। যেহেতু তারা মাছ-মাংস খান না। তাহলে, প্রোটিনের ঘাটতি মেটাবেন কোন খাদ্য দিয়ে?
প্রোটিন শরীরের পেশি গঠন ও আমাদের বৃদ্ধির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি হাড়ও মজবুত করে। এ পুষ্টির জন্য প্রতি কিলোগ্রাম শরীরের ওজনে ডিআরআই (ডায়েটারি রেফারেন্স ইনটেক) হল শুন্য দশমিক আট গ্রাম। সুতরাং, যদি আপনার ওজন হয় ৬০ কেজি তাহলে আপনার প্রতিদিন ৪৮ গ্রাম প্রোটিন দরকার।
এখন জেনে নেয়া যাক নিরামিষভোজীরা কোন কোন খাদ্য থেকে প্রোটিন গ্রহণ করে।
ছোলা: রোজায় ইফতারিতে ছোলা ছাড়া চলেই না। তবে, আপনি যদি নিরামিষভোজী হন, তাহলে সব সময় খেতে পারেন ছোলা। এটি আপনার প্রোটিনের ঘাটতি কমবে। কাঁচা, সেদ্ধ বা মাখা সবই খেতে পারেন।
চিনাবাদাম: আধা কাপ চিনাবাদামে ২০ দশমিক পাঁচ গ্রাম প্রোটিন থাকে। প্রোটিনের পাশাপাশি টেস্টের ব্যাপার মাথায় রেখে আপনি চাইলে পিনাট বাটারও খেতে পারেন। এক টেবিল চামচ পিনাট বাটারে আট গ্রাম প্রোটিন থাকে।
বাদাম: প্রোটিনের খুব ভাল উৎস বাদাম। আধা কাপ বাদাম থেকে আপনি ১৬৭ দশমিক পাঁচ গ্রাম প্রোটিন পাবেন। আর একটি কর্মউদ্যমী দিনের জন্য শুরুতেই আপনি এ বাদাম খেতে পারেন।
আলু: আলু থেকে আমরা শুধু কার্বোহাইড্রেটই পাই তা নয়, একটি সেদ্ধ আলু থেকে আমরা আট গ্রাম প্রোটিনও গ্রহণ করি।
মসুর ডাল: আমাদের সকলের ঘরেই মসুর ডাল রান্না হয়। মসুর ডাল খুব ভাল একটি প্রোটিনের উৎস। এটি ওজন কমায়। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও বেশ ভাল। নিরামিষভোজীরাও খেতে পারেন প্রোটিনের জন্য।
সবুজ মটর: মটর সাধারণত বেশিরভাগ খাদ্যে সাইডকিক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তবে, এটি প্রোটিনের একটি দুর্দান্ত উৎস। সুতরাং, তাদের অবমূল্যায়ন করা বন্ধ করুন।
ওটস: এটি তৈরি করা সহজ, স্বাদে সুস্বাদু ও সহজলভ্য- ওটস একটি বিস্ময়কর খাদ্য; যা একজন নিরামিষাশীকে সহজেই ছয় গ্রাম প্রোটিন সরবরাহ করে।
মাখন: মাখন খেতে অনেকেই পছন্দ করেন। মাখন সুস্বাদু, সাথে শরীরের প্রোটিনের ঘাটতি কমাতে সাহায্য করে। গরম ভাতে বা পাউরুটির সাথে মাখন খেতে পারেন।
পনির: পনির দিয়ে বিভিন্ন ধরনের তরকারি রান্না করা যায়। পনির কিন্তু ভাল একটি প্রোটিনের উৎস। তাই, নিরামিষভোজীরা প্রোটিনের ঘাটতি মেটাতে খেতে পারেন পনির।
দই: দইয়ের বহু গুণ আছে। এর মধ্যে একটি হল পেট ঠান্ডা রাখা। দই হজমেও সাহায্য করে। শক্তি যোগায়। তাই, দিনের শুরুতে, সকালে নাস্তার তালিকায় দই রাখুন। দইও প্রোটিনের ভাল উৎস।