ঘুমধুম, বান্দরবান: বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে গত কয়েক দিনের তুলনায় উত্তেজনা কিছুটা কমেছে। পূর্বের মত শোনা যাচ্ছে না গোলাগুলি, মর্টারশেলের গোলার বিস্ফোরণ। বহু বাসিন্দাই ফিরছেন বসতিতে। তবে, তুমুল যুদ্ধের পর বিজিপির ঘাঁটিগুলো আরকান আর্মির দখলে যাওয়ায় এখন মিয়ানমার সেনাবাহিনী হেলিকপ্টার নিয়ে আক্রমণ করার আতঙ্কে সীমান্তবাসী।
বান্দরবানের ঘুমধুম সীমান্তের মধ্যমপাড়া। চারদিকে সুনশান নীরবতা। বসতিতে নেই মানুষজন। গত কয়েক দিন পূর্বেও এ সীমান্তে শোনা যেত মুর্হুমুহু গোলাগুলি, মর্টারশেলের গোলার বিকট শব্দ ও হেলিকপ্টার থেকে ছোঁড়া গোলার শব্দ। কিন্তু, এখন শোনা যাচ্ছে না গোলাগুলি, গোলার বিকট শব্দ। একই সাথে দেখা যাচ্ছে না মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারের বিচরণ।
তাই, বান্দরবানের ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্ত কিছুটা শান্ত। এমন অবস্থায় বসতিতে ফিরতে শুরু করেছে সীমান্তের বাসিন্দারা। খুলেছে কিছু দোকানপাট আর চলাচল করছে যানবাহন। তবে, তুমুল যুদ্ধের পর মায়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির ঘাঁটিগুলো আরকান আর্মির দখলে যাওয়ায় এখন হেলিকপ্টার নিয়ে আক্রমণ করার আতঙ্কে দিন কাটছে সীমান্তবাসীর।
সীমান্তের বাসিন্দাদের নিরাপত্তায় কাজ করছে গ্রাম পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। তারা সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর রাখছেন সীমান্তের। একই সাথে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কাজ করছে মাঠে পর্যায়ে।
এ দিকে, সীমান্তের কাছাকাছি তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সদস্যদের সরিয়ে নেয়ায় সীমান্তবাসী স্বস্তির নি:শ্বাস ফেলছেন।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের ওয়ার্ড সদস্য শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, মিয়ানমারের গোলাগুলি, গোলাবর্ষণ ও হেলিকপ্টার থেকে গোলা ছোঁড়ার কারণে গত কয়েক দিন বান্দরবানের ঘুমধুম ও তুমব্রু থেকে নিরাপদ আশ্রয় চলে যান সীমান্তের ১৮০টি পরিবার। তারা এখন আবার বসতভিটায় ফিরতে শুরু করেছেন।