শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ সোসাইটির প্রস্তুতি সভা

শুক্রবার, ফেব্রুয়ারী ৯, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

নিউইয়র্ক সিটি, যুক্তরাষ্ট্র: দেশের বাইরে সবচেয়ে বড় পরিসরে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করে থাকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসীদের সর্ববৃহৎ এবং ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাংলাদেশ সোসাইটি ইউএসএ ইনক। প্রতি বারের চেয়ে এবার নেয়া হয়েছে আরো বর্ণাঢ্য কর্মসূচি। এবারের আয়োজনে প্রধান অতিথি থাকছেন গ্লোবাল পিস অ্যামব্যাসেডর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের মাউন্টেন ব্যাটালিয়ন কমান্ডার স্যার আবু জাফর মাহমুদ।

বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) নিউইয়র্ক সিটির এল্মহার্স্টে সোসাইটির নিজস্ব কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেন সোসাইটির প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ রব মিয়া। অনুষ্ঠানে আবু জাফর মাহমুদ ছিলেন প্রধান অতিথি। উপস্থিত ছিলেন সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রুহুল আমীন সিদ্দিকী, ভাইস প্রেসিডেন্ট ফারুক চৌধুরী, ট্রেজারার মোহাম্মদ নওয়াশেদ হোসেন, জনসংযোগ ও প্রকাশনা সম্পাক রিজু মোহামেদ, ক্রীড়া ও বিনোদন সম্পাদক মাইনুদ্দিন মাহবুব, নির্বাহী সম্পাদক আখতার বাবুল, সাদী মিন্টু।

অনুষ্ঠানে আবু জাফর মাহমুদ বলেন, ‘আমরা যুদ্ধ করে বাংলাদেশ জন্ম দিয়েছি। প্রবাসে বাংলাদেশের ঐতিহ্য সংস্কৃতি সুরক্ষার নেতা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশ সোসাইটি। এ সোসাইটি যত দূর পর্যন্ত বিস্তৃত হবে, তত দূর পর্যন্ত আমি গভীরভাবেই এর সাথে যুক্ত। এ সোসাইটি পরিচালনার কাজটি পুরো জাতির কাজ, পুরো সমাজের কাজ। বিশেষ করে সামাজিক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এ সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘যেখানে আমাদের লক্ষ্যের একতা আছে, সেখানে কর্মের একতা নিয়ে ভাবতে হবে না। লক্ষ্যটা আগে স্থির করা দরকার। সব স্রোতে গা ভাসিয়ে দেয়া কোন জ্ঞানী মানুষের কাজ নয়। আমরা যেন সফল হই। সফলতাটি হচ্ছে, আমরা যা করছি তার যেন কার্যকারিতা থাকে। আর সেই কার্যকারিতাও অন্য কিছু নয়, শুধু আমাদের দেশ ও জাতির কল্যাণ। নিউইয়র্ক সিটিতে পৃথিবীর সব জাতি ও ধর্মের মানুষ রয়েছে। এর মধ্যে আমাদের জাতি যেন সম্মান ও মর্যাদায় মাথা উঁচু করে থাকতে পারে, সেটিই আমাদের দেখার বিষয়।’

আবু জাফর মাহমুদ বলেন, ‘দেশকে প্রতিনিধিত্ব করে বাংলাদেশ সোসাইটি। এ সোসাইটি তখনই সফল হবে, যখন এটি পকেটের প্রভাবে বড় না হয়ে জ্ঞানের প্রভাবে বড় হয়।’

তিনি বাংলাদেশ সোসাইটির অতীতের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরে বলেন, ‘সেগুলো এখন নেই বলেই সংগঠনটি গতিশীলভাবে চলছে। ব্যক্তি সম্মান বা সংগঠন পরিচালনার সাফল্যই শেষ কথা নয়। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের ভাবমূতিকে বড় করে তোলাই আমাদের বড় দায়িত্ব।’

এবার একুশে উদযাপনী আয়োজন হবে উডসাইটের টিবেটান কমিউনিটি সেন্টারে। অনুষ্ঠান শুরু হবে ২০ ফেব্রুয়ারি বিকাল পাঁচটায়। চলবে একুশের প্রথম প্রহর পর্যন্ত। অনুষ্ঠানে থাকবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন, মুক্তিসংগ্রাম ও দেশপ্রেমের বার্তাবহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। প্রতি বারের মতই থাকবে সাংগঠনিক নানা আনুষ্ঠানিকতা ও একুশের প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পন করে বায়ান্নর রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন।