শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

গাজা নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের নয়া ভোট ঠেকানোর হুমকি যুক্তরাষ্ট্রের

রবিবার, ফেব্রুয়ারী ১৮, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র: আলজেরিয়ার আহবানে গাজায় ‘অবিলম্বে’ যুদ্ধবিরতির জন্য একটি প্রস্তাবে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে আগামী সপ্তাহে একটি ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। যদিও কূটনৈতিক সূত্র শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ফের এ প্রস্তাব ঠেকানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। খবর এএফপির।

আন্তর্জাতিক বিচার আদালত জানুয়ারির শেষের দিকে ইসরায়েলকে গাজা যুদ্ধে গণহত্যামূলক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার রায় দেয়ার পর আলজেরিয়া একটি নতুন খসড়া নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে।
সর্বশেষ এ খসড়া প্রস্তাবে অবিলম্বে একটি মানবিক যুদ্ধবিরতির দাবি জানানো হয়েছে ও সব পক্ষকে অবশ্যই এ প্রস্তাবের প্রতি সম্মান করতে হবে। প্রস্তাবে ‘ফিলিস্তিনি বেসামরিক জনসংখ্যার জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি প্রত্যাখ্যান করা হয়’ এবং এটি ‘সব জিম্মির অবিলম্বে ও নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করে।

হামাস পরিচালিত ভূখন্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার বিমান হামলা ও নৃশংস স্থল অভিযানে এখন পর্যন্ত অন্তত ২৮ হাজার ৮৫৮ জন নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
আলজেরিয়া মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভোটের জন্য অনুরোধ করেছে, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ইঙ্গিত দিয়েছে যে, তারা এ প্রস্তাবে ভেটো দেবে।

আলজেরিয়ার প্রস্তাবিত খসড়ার ব্যাপারে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং মিশর ও কাতারের নেতাদের সঙ্গে জিম্মি চুক্তিতে কাজ করছেন; যা প্রায় ছয় সপ্তাহের ‘লড়াইয়ের দীর্ঘ বিরতি’ নিয়ে আসবে।’

থমাস-গ্রিনফিল্ড বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগের বিপরীতে ‘নিরাপত্তা পরিষদে পেশ করা রেজুলেশন’ ফলাফল অর্জন করবে না ও প্রকৃতপক্ষে, এটি তাদের বিরুদ্ধে যেতে পারে।’

‘যুক্তরাষ্ট্র এ খসড়া রেজুলেশনের পদক্ষেপকে সমর্থন করে না’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটি খসড়া হিসাবে ভোটের জন্য আসা উচিত, তবে এটি গৃহীত হবে না।’

জাতিসংঘে ফিলিস্তিনি দূত রিয়াদ মনসুর সম্প্রতি বলেছেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি যে, নিরাপত্তা পরিষদের এখন মানবিক যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় এসেছে।’

কাউন্সিল সদস্যদের মধ্যে খসড়া প্রস্তাবের বক্তব্যের প্রতি ‘ব্যাপক সমর্থন’ রয়েছে।