শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

৪৮ ঘণ্টায়ও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি এস আলম সুগার মিলের আগুন

বুধবার, মার্চ ৬, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

কর্ণফুলী, চট্টগ্রাম: ৪৮ ঘণ্টা পার হয়েছে, তবুও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি এস আলম গ্রুপের সুগার মিলের আগুন। কারখানার ভেতরে এখনো পুড়ছে চিনির কাঁচামাল। ফায়ার সার্ভিস বলছে, ‘আগুন নেভাতে সময় লাগতে পারে আরো দুই থেকে তিন দিন। বুধবার (৬ মার্চ) ব্যাপারটি জানান চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ হারুন পাশা।

তিনি বলেন, ‘আগুন বাইরে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা না থাকলেও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে আরো সময় লাগবে। পুরো এলাকাজুড়েই চিনির কাঁচামাল মজুত আছে। শুধু নিচ থেকে আগুন নেভানো সম্ভব নয়।’

এ মুহূর্তে উপর থেকে পানি ছেটানোর বিকল্প নেই। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের দশটি ইউনিট কাজ করছে বলে জানান তিনি।

এর আগে সোমবার (৪ মার্চ) বিকাল চারটার দিকে চট্টগ্রাম জেলার কর্ণফুলী উপজেলায় এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কারখানার এক নম্বর গুদামে আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের সাথে কাজ করে যাচ্ছে নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, সেনাবাহিনী এবং কোস্ট গার্ড।

এস আলম গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার (করপোরেট) মোহাম্মদ আকতার হোসেন জানান, সেখানে পাঁচটি গুদাম রয়েছে। প্রতিটি গুদামের ধারণক্ষমতা ৬০ হাজার মেট্রিক টন। আগুন লাগার সময়ও কারখানা চালু ছিল। কারখানাটিতে প্রায় সাড়ে ৫০০ জন শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করেন।

তিনি বলেন, ‘আগামী দুয়েক দিনের মধ্যে পুরোদমে প্রোডাকশনে নামতে পারব। এ আগুনের পরিপ্রেক্ষিতে বাজারে চিনি কমবে না। শুধু রমজান নয়; আমাদের ৬-৭ লাখ টন পাইপলাইনে রয়েছে। শুধু একটা গোডাউনে আগুন লেগেছে, সেটি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। তবে, সেটিতে ক্ষয়ক্ষতি হলেও পাশে আরো গোডাউন রয়েছে। সেখানে পর্যাপ্ত পরিমাণ চিনি রয়েছে। বাজারে আগুনের কোন প্রভাব পড়বে না।’

এ দিকে, আগুনের তাপ ও পুড়ে যাওয়া চিনির গলিত লাভার চাপে হেলে পড়েছে দুর্ঘটনাকবলিত গোডাউনের এক পাশের দেওয়াল। এতে বড় ধরনের দুর্ঘটনার শঙ্কা করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।

এছাড়া, কারখানার পুড়ে যাওয়া চিনি গলে কর্ণফুলীতে নদীতে পড়ে নদীর পানি দূষিত হচ্ছে বলে এলাকাবাসী জানান।