শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

ঈদের পূর্বে জিম্মি নাবিকদের মুক্ত করা কঠিন: জাহাজের মালিকপক্ষ

শনিবার, মার্চ ৩০, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

চট্টগ্রাম: সোমালিয়ার জলদস্যুদের কাছে জিম্মি বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ এবং এর ২৩ জন নাবিককে ঈদুল ফিতরের পূর্বে মুক্ত করা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। ঈদুল ফিতরের পূর্বে জিম্মিদের উদ্ধার করে দেশে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে বলে কোন কোন সংবাদ মাধ্যমে খবর বের হলেও তা সঠিক নয় বলে জানান এমভি আবদুল্লাহর মালিক কবির গ্রুপের (কেএসআরএম) অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এসআর শিপিং কর্তৃপক্ষ।

শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে কেএসআরএমের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুর ইসলাম বলেন, ‘ঈদুল ফিতরের পূর্বে জিম্মিদের মুক্ত করতে জোর প্রচেষ্টা চলছে। দস্যুদের প্রতিনিধির সাথে তাদের প্রতিদিনই কথা হচ্ছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আলোচনার অগ্রগতি হচ্ছে। তবে, ঈদের পূর্বে মুক্ত হবে কি না, তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। পূর্ব অভিজ্ঞাতায় আমরা বলতে পারি, ঈদের আগে জিম্মিরা মুক্তি পেলেও তারা ঈদের আগে দেশে ফিরতে পারবেন না।’

কারণ, হিসেবে মিজানুর ইসলাম বলেন, ‘দেশে ফিরিয়ে আনার বেশ কিছু কাজ রয়েছে। সে কাজ সম্পন্ন করে দেশে ফিরতে তাদের ২৫-৩০ দিন সময় লাগবে। তবে, প্রকৃত সত্য হচ্ছে, ঈদের আগে নাবিকদের মুক্ত করা কঠিন।’

এ দিকে, সোমালিয়ার গদভজিরান জেলার জিফল উপকূল থেকে দেড় নটিক্যাল মাইল দূরে প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে জিম্মি থাকা জাহাজটিতে মজুদ খাদ্য পানি ফুরিয়ে আসছে বলে জানা গেছে। জিম্মি হওয়ার পূর্বে ২০০ টন বিশুদ্ধ পানি মজুদ ছিল জাহাজে। এখন নাবিকদের রেশনিং করে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।

মালিকপক্ষ থেকে জানা গেছে, এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করার সময় জাহাজটিতে নাবিকদের জন্য প্রায় ২৫ দিনের হিমায়িত খাদ্য মজুদ ছিল। তবে, শুকনা খাদ্য বহু দিনের জন্য মজুদ রয়েছে।

বলে রাখা ভাল, মোজাম্বিক থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে দুবাইয়ে যাওয়ার পথে গেল ১২ মার্চ দুপুর দেড়টার দিকে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়ে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ।