শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

কবিতা: মায়ের মুখের মধুর হাসি । । আতিকুল হাসান রবিন

রবিবার, মার্চ ৩১, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

ফুটন্ত ঐ ফুলের মাঝে, দেখরে মায়ের হাসি,
সন্তান মোরা মায়ের হাসি, বড়ই ভালবাসি।
ভালবাসি সবে মাকে যে আর, মায়ের মুখের হাসি,
সন্তানের জীবনে মা যে সবার, রহমত রাশি রাশি।

ফুলেরই ঐ কুড়ির মাঝে, দেখি আমার মায়ের মুখ,
অনাবিল এক আনন্দে তাই, ভরে ওঠে সারা বুক।
মা আমাদের ধরার বুকে, সর্বশ্রেষ্ঠ ধন,
দরদী যে কেউ হয় না রে ভাই, মায়েরই মতন।

মা আছে ভাই থাকবে সদাই, এ বুকেরই ভিতর,
সব হয়ে যায় পর দুনিয়ায়, হয় না যে মা পর।
সব মায়েরই সন্তানেরা, ঘুরে ফিরে দুনিয়ায়,
সন্তানের কিছু হলে জেনে যায়, সবার আগে তার মায়।

আসতে একটু দেরি হলে ভাই, মা জেগে বসে থাকে,
হয়ে গেলে বড় মাকে তখন, কেউ কি আর মনে রাখে?
অসুখ হলে মা যে আমার, ঘুমায় না রাত দিন,
যায় কি বল শোধ করা ভাই, ঐ সে মায়ের ঋণ?

সেই মাকে আজ কত জনে দেখ, করে কত অপমান,
ঠিক তখনই আল্লার আরশ, ভেঙে হয় খানখান।
যাও যে সবাই হজ্ব করতে, মক্কা মদীনাতে,
মা যে সবার কেবলা ক্বাবা, দু জাহান দুনিয়াতে।

খুশী হলে ঐ মা যে তোমার, আল্লাহ খুশী হয়,
মায়ের পায়েই জান্নাত তোমার, সে কথা মিছে নয়।
মা যে অনেক কষ্টে তোমায়, আনিলেন এ ভবে,
গায়ের চামড়ায় জুতা বানালেও, সে ঋণ শোধ না হবে।

যপে যাও সবে মায়েরই নাম, তোমাদের দমে দমে,
মনের ভুলেও রেখ না তাদের, কষ্টেরই আশ্রমে।
থাকতে যে মায় বুঝে না যে জন, সেই মায়েরই মর্ম,
মাকে আগে কর খুশী সবে, ফেলে রেখে কাজ কর্ম।

কাজ কর্ম হারিয়ে গেলে, আবার ফিরে পাওয়া যায়,
যায় না পাওয়া কারো যদি মা, একেবারেই হারায়।
মা-বাবাকে কষ্ট দিয়ে, যায় না গো থাকা সুখে,
সেই মাকে আজ উপোস রেখে, খাস তোরা কোন মুখে?

খাওয়ালে তোমার মা-বাবাকে, সম্পদ নাহি কমে,
কত দুখী মা না খেয়ে আজ, পড়ে আছে আশ্রমে।
এ দুনিয়ার অমানুষ তোরা, হলি কেন এত নির্বোধ,
মা-বাবা ছাড়া যায় না পাওয়া, ঐ খোদার রহমত।

মা-বাবার মনে কেউ কোন দিন, দিশরে যদি কষ্ট,
এপার ওপার ঈমান আমল, হয়ে যাবে সব নষ্ট।
মানুষ তোমরা এটা ভেব না, মরে গেলেই সব শেষ,
মায়ের পায়ের নিচেই যে সব, সন্তানের বেহেস্ত।।

কবি: অভিনেতা, উত্তরা, ঢাকা