ঢাকা: তিন ব্যাগ ডলার মুক্তিপণ দেয়ায় ৩১ দিন পর সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্ত হয়ে জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের পথে রয়েছেন বাংলাদেশি ২৩ নাবিক। তবে, মুক্তিপণ বা অর্থের বিনিময়ে নাবিকদের উদ্ধারের ব্যাপারে কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
রোববার (১৪ এপ্রিল) সকালে মিনটো রোডে প্রতিমন্ত্রীর বাসায় জিম্মি অবস্থার অবসান ব্যাপারে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘গেল কয়েক দিন ধরেই শুনছি মুক্তিপণ বা টাকা-পয়সার বিনিময়ে জিম্মি নাবিক ও জাহাজকে মুক্ত করা হচ্ছে। তবে, এ ব্যাপারে আমাদের কোন ইনভলভমেন্ট নাই। এ ধরনের তথ্য আমার কাছে নাই।’
উল্টো তিনি দাবি করেন, সরকারের তৎপরতায় আন্তর্জাতিক চাপ ও সমঝোতার মাধ্যমে নাবিকদের মুক্ত করা হয়েছে।
খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘জিম্মি অবস্থার অবসানে প্রথমে অভিযানের পরিকল্পনা থাকলেও পরবর্তী নাবিকদের জীবনের নিরাপত্তা বিবেচনায় তা হয়নি। বর্তমানে নাবিকরা সবাই সুস্থ আছেন। তারা এখন জাহাজ নিয়ে আরব আমিরাতের দিকে এগোচ্ছেন।’
জলদস্যুরা নিরাপত্তার জন্য কয়েকজন নাবিককে জাহাজ থেকে নিয়ে যেতে চেয়েছিল জানিয়ে নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘জাহাজ দখলে নেয়ার সময় ২০ জন জলদস্যু ছিল। যখন তারা জাহাজ ছেড়ে যায় তখন ৬০ জলদস্যু ছিল। তারা জাহাজ ত্যাগের সময় নিরাপত্তার জন্য ৫-৬ জন নাবিককে নিয়ে যেতে চেয়েছিল। কিন্তু, সরকারের দৃঢ়তায় নাবিকদের মুক্ত রাখা সম্ভব হয়েছে।’