শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

সৌদি আরবের সাথে সম্পর্ক পুনর্বিবেচনার কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র

বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ১৩, ২০২২

প্রিন্ট করুন

ওয়াশিংটন ডিসি, যুক্তরাষ্ট্র: ওপেক প্লাসের তেল উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্তের পর সৌদি আবরের বিরুদ্ধে ব্যাপক চটেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে রিয়াদের সাথে ফের সম্পর্ক পুনর্বিবেচনার ইঙ্গিত দিয়েছে ওয়াশিংটন। বাইডেন প্রশাসনের অভিযোগ, তেল উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে আদতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে সৌদি আরব। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।

গত ৫ অক্টোবর তেল উৎপাদন কমানোর বিষয়ে একমত হয় সৌদি আরব ও রাশিয়াসহ ওপেক প্লাসভুক্ত দেশগুলো। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রতিদিন ২০ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন কমাবে জোটের সদস্য দেশগুলো। ঐ ঘোষণার পরই বিশ্ব বাজারে বাড়তে শুরু করে তেলের দাম। ইতিমধ্যে দাম বেড়েছে দশ শতাংশেরও বেশি।

তেলের উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ যুক্তরাষ্ট্র। এ জন্য সৌদি আরবের ওপর চটেছে বাইডেন প্রশাসন। ওয়াশিংটনের অভিযোগ, তেল উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে মূলত রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে সৌদি আরব। অথচ এ দেশটিকে দীর্ঘ দিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে মনে করে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন বাস্তবতায় সৌদি আরবের সাথে সম্পর্ক পুনর্বিবেচনার ইঙ্গিত দিয়েছে হোয়াইট হাউজ।

হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র ক্যারিন জেন পিয়েরে বলেন, ‘বাইডেন সৌদি আরবের সাথে সম্পর্কের বিষয়টি নতুন করে বিবেচনার কথা ভাবছেন। তবে কবে করা হতে পারে, সেটি সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। বিষয়টি নিয়ে সিনেট সদস্যসহ মিত্র দেশগুলোর সাথেও আলোচনা করা হবে। এতে কয়েক সপ্তাহ লেগে যেতে পারে। ফের কয়েক মাসও সময় লাগতে পারে। সবকিছু পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে।’

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন করবিও বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক কোথায় থাকা দরকার এবং এটি জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে কাজ করছে কি-না তা বিবেচনা করা হবে।’

সম্পর্ক পুনর্মূল্যায়নের এ পদক্ষেপটি ওপেকপ্লাস ও সৌদি নেতৃত্বের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের আলোকে এসেছে বলেও জানান জন করবি।

তিনি আরো বলেন, ‘আগামী নভেম্বরে মধ্যবর্তী নির্বাচনের পর সৌদি নীতি নিয়ে কংগ্রেসে আলাপ আলোচনা শুরু হবে।’

ইতিমধ্যেই রিয়াদের কাছে অস্ত্র বিক্রি ও নিরাপত্তা সহযোগিতা বন্ধের জোরালো দাবি জানিয়েছেন এক মার্কিন সিনেটের ।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ‘সৌদি আরবের নতুন প্রধানমন্ত্রী প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সাথে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য সাম্প্রতিক প্রচেষ্টার ইতি টানতে পারেন জো বাইডেন। যার ইঙ্গিত মার্কিন কর্মকর্তাদের বক্তব্যে ইতিমধ্যে উঠে এসেছে।