মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর সঙ্গে পরিবেশমন্ত্রীর বৈঠক

বুধবার, মে ১৫, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, ‘পরিবেশ ও জলবায়ু সংক্রান্ত পদক্ষেপের ভিত্তিতে আগামী দিনে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো শক্তিশালী হবে। যুক্তরাষ্ট্র জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় আমাদের সহযোগিতা করতে চায়৷ আমরাও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরো গভীর করতে চাই।

বুধবার (১৫মে) যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর নেতৃত্বে সাত সদস্যের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সচিবালয়ে তার কার্যালয়ে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন পরিবেশমন্ত্রী। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরো জোরদার করার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ এশিয়ার জন্য বিনামূল্যে রিয়াল টাইম স্যাটেলাইট ডেটা অফার করার পরিকল্পনা করেছে। এর মাধ্যমে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বন্যা, দূষণ ও সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির মত জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবগুলি পর্যবেক্ষণ করতে সক্ষম হবে। বাংলাদেশ প্রযুক্তি হস্তান্তর, সক্ষমতা বৃদ্ধি, স্মার্ট এগ্রিকালচার এবং সবুজ ও জলবায়ু প্রযুক্তির অগ্রগতি, অর্থায়নে সহায়তা কামনা করা হয়েছে। এসব লক্ষ্যে একটি দ্বিপাক্ষিক ওয়ার্কিং গ্রুপ প্রতিষ্ঠিত হবে। প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের কল্যাণ নিশ্চিতে প্রকল্প বাস্তবায়নে আরো আলোচনা করা হবে।’

সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের ব্যাপারে তারা কীভাবে আমাদের সহযোগিতা করবে, সে ব্যাপারে আমরা কথা বলেছি। আমি আশাবাদী, যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনায় তারা আমাদের চাহিদার কথা মাথায় রাখবে। আলোচনায় পরিবেশগত ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলার পাশাপাশি টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতে সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টার গুরুত্বের ওপর জোর দেয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে।’

প্রতিনিধি দলের বাকি সদস্যরা হলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস; দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর চিফ অফ স্টাফ নাথানিয়েল হাফ্ট; নেপাল, শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরো অফিসের রাজনৈতিক ইউনিট প্রধান সারাহ অলড্রিচ; ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক কাউন্সেলর আর্তুরো হাইন্স, পলিটিক্যাল ইউনিট চিফ শেরিন ফিটজেরাল্ড ও পলিটিক্যাল অফিসার ম্যাথু বেহ।