ঢাকা: সংকট না থাকার পরেও বাজারে কৃত্রিম মূল্যবৃদ্ধির প্রবণতা দেখে প্রধানমন্ত্রী কঠোরভাবে বাজার মনিটরিংয়ের জন্য সুনির্দিষ্টভাবে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছেন। সোমবার (২০ মে) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ নির্দেশনা দেয়া হয়। সভা শেষে বিকালে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘আজকে নির্ধারিত ইস্যুর বাইরে দুইটি ব্যাপার ছিল। তার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী আজকে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীকে কঠোরভাবে বলেছেন, বাজার মনিটরিং যেন জোড়ালোভাবে হয় ও ভালভাবে নজর দিতে বলেছেন। বাজারে সাপ্লাই যেন ঠিক থাকে।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরো বলেন, ‘কিছু কিছু পণ্যে সরবরাহ ঠিক আছে, ক্রাইসিস না থাকার পরেও বাজারে কৃত্রিম মূল্যবৃদ্ধির প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। সেজন্য কঠোরভাবে বাজার মনিটরিং করতে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীকে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।’
এছাড়া ‘প্রটোকল টু দ্য ডি-৮ পিটিএ অন ডিসপিউট সেটলমেন্ট ম্যাকানিজমে’ সই করার প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আপনারা জানেন, ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) ভুক্ত আটটি দেশ, যেটি ডেভলপমেন্ট ৮ (ডি-৮) নামে পরিচিত। এটা ওআইসির মধ্যেই ছোট্ট একটি গ্রুপ। তাদের মধ্যে চুক্তি হয়েছিল, ডি-৮ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে অগ্রাধিকার বাণিজ্য চুক্তি। এটির আওতায় এ আটটি দেশের নির্দিষ্ট পণ্যের অগ্রাধিকার দেয়ার ব্যাপারে অঙ্গীকার করেছিল।’
এসব দেশের মধ্যে মাঝে মাঝে ডিসপিউট (বিতর্ক) তৈরি হয়েছিল, সেই ডিসপিউট কীভাবে নিরসন করবে, সেটা চুক্তিতে ছিল না। সেজন্য একটি প্রটোকল করে বিতর্ক নিষ্পত্তির খসড়া তৈরি করা হয়েছে। এখন থেকে দুই পক্ষ আলাপ-আলোচনা করে বিতর্ক নিরসন করবে বলে জানান সচিব।
‘যদি তাতে সুরাহা না হয়, তখন বিতর্কের ব্যাপার ডি-৮ এর একটি সালিশ প্যানেলে উঠবে। সেখানে দুই পক্ষ থেকে দুইজন থাকবেন, আবার দুই পক্ষ মিলে আরেকজন থাকবেন। এ তিন জনে মিলে যে রায় দেবেন, সেই রায় মানতে হবে।’ যোগ করেন তিনি।
মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়েশিয়া, নাইজিরিয়া, পাকিস্তান, তুরস্ক ও বাংলাদেশ হচ্ছে ওআইসির ডি-৮ ভুক্ত দেশ।