সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

বিশ্বকাপের শেষ প্রস্তুতি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজ খেলতে নামছে বাংলাদেশ

সোমবার, মে ২০, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

টেক্সাস, যুক্তরাষ্ট্র: টি-২০ বিশ্বকাপের জন্য শেষ বারের মত প্রস্তুতি নিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজ খেলতে নামছে সফরকারী বাংলাদেশ। মঙ্গলবার (২১ মে) টেক্সাসের হিউস্টোনের প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে সিরিজের প্রথম টি-২০ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত নয়টায়। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ২৩ ও ২৫ মে। একই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের সব ম্যাচ।

তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজ শেষে ২৮ মে বিশ্বকাপের অফিসিয়াল প্রস্তুতি ম্যাচে ফের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র। ফলে, একই ভেন্যুতে চার বার মুখোমুখি হবে দুই দল। প্রথম ম্যাচটি দুই দলের কাছে ঐতিহাসিক হতে যাচ্ছে। কারণ, প্রথম বারের মত টি-২০ ফরম্যাটে দেখা হবে দুই দলের।

২০০৬ সালে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রথম টি-২০ খেলার পর এরমধ্যে এ ফরম্যাটে ২০টি দলের বিপক্ষে খেলেছে বাংলাদেশ। আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক যুক্তরাষ্ট্র ২১তম প্রতিপক্ষ হবে বাংলাদেশের।

অন্যান্য দেশের খেলোয়াড়দের নিয়ে দল সাজিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বিশেষ করে ভারতীয় বংশোদ্ভূত খেলোয়াড়দের আধিপত্যই বেশি। এরমধ্যে একজনের নাম স্পটলাইটে রয়েছে। তিনি হলেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক ক্রিকেটার কোরি এন্ডারসন। ২০১৪ সালে ওয়ানডেতে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছিলেন এন্ডারসন। ২০১৫ সালে এন্ডারসনের দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড ভেঙ্গে দেন দক্ষিণ আফ্রিকার এবি ডি ভিলিয়ার্স। নিউজিল্যান্ডের জার্সি গায়ে বাংলাদেশের বিপক্ষেও খেলেছিলেন এন্ডারসন। পরবর্তী যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান এন্ডারসন। গেল মাসে যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় তার। সাত বছর পূর্বে মাউন্ট মাউঙ্গানুইতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৪১ বলে দুইটি চার ও দশটি ছক্কায় অপরাজিত ৯৪ রান করেছিলেন এন্ডারসন। বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ছক্কা মারার রেকর্ড এন্ডারসনের। পাশাপাশি, ৭৫ বা তার বেশি রানের ইনিংসে এটি তৃতীয় সর্বোচ্চ স্ট্রাইক রেট।

এছাড়া, ডান-হাতি পেসার আলি খানের চেয়ে অন্যরা খুব বেশি পরিচিত নয়। আইপিএল, পিএসএল এবং পৃথিবীব্যাপী আরো কয়েকটি টি-২০ লিগ খেলেছেন তিনি। বিপিএলে খুলনা টাইটান্সের হয়ে খেলেছিলেন আলী খান। আলি খানের মত আরো কিছু খেলোয়াড় আছেন, যারা পৃথিবীর বেশ কিছু জনপ্রিয় টি-২০ লিগে খেলেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রে বিপক্ষে ফেভারিট হিসেবে শুরু করবে বাংলাদেশ। সব ম্যাচ জয়ের লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামবে তারা। পাশাপাশি, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বশেষ টি-২০ সিরিজে হওয়া কিছু ভুল সমাধানের চেষ্টাও করবে টাইগাররা। যদিও ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লেতে উন্নতির সঙ্গে আচমকা ব্যাটিং ধসের সমস্যাগুলো কাটিয়ে উঠার চেষ্টাই করবে টাইগাররা।

দুই বছর ধরে দারুন পারফরমেন্স করছে বাংলাদেশের বোলাররা। কিন্তু, বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলংকার মত দলের বিপক্ষে খেলতে হবে টাইগারদের। পাওয়ার প্লে কাজে লাগাতে বেশ পারদর্শী দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলংকা। তাই, বড় মঞ্চে বিগ হিটারদের রান আটাকানোর অনুশীলনই যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজে ভালভাবে শেখার সুযোগ পাচ্ছে টাইগার বোলাররা।

বাংলাদেশের অলরাউন্ডার মাহেদি হাসান বলেন, ‘পাওয়ার প্লেতে এটা সত্যিই চ্যালেঞ্জিং, বিশেষ করে টি-টোয়েন্টিতে। এটা রানের খেলা। বোলিং করার সময় যতটা সম্ভব কম রান দেয়ার চেষ্টা থাকবে। এটা সত্যিই চ্যালেঞ্জিং।’

বাংলাদেশ দল: নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তাসকিন আহমেদ (সহ-অধিনায়ক), লিটন দাস, সৌম্য সরকার, তানজিদ হাসান তামিম, সাকিব আল হাসান, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলি অনিক, তানভির ইসলাম, মাহেদি হাসান, রিশাদ হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ও তানজিম হাসান সাকিব।
রিজার্ভ: আফিফ হোসেন, হাসান মাহমুদ

যুক্তরাষ্ট্র দল: মোনাঙ্ক প্যাটেল (অধিনায়ক), অ্যারন জোন্স, অ্যান্ড্রিস গাউস, কোরি এন্ডারসন, আলি খান, হারমিত সিং, জেসি সিং, মিলিন্দ কুমার, নিসার্গ প্যাটেল, নীতিশ কুমার, নশতুশ কেনজিগে, সৌরভ নেথ্রালভাকার, শ্যাডলি ভ্যান শালকউইক, স্টিভেন টেলর, শায়ান জাহাঙ্গীর।
রিজার্ভ: গজানন্দ সিং, জুয়ানয় ড্রাইসডেল, ইয়াসির মোহাম্মদ।