মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

টিকল না ইসরাইলের আপত্তি, ফিলিস্তিনকে স্পেন, আয়ারল্যান্ড ও নরওয়ের স্বীকৃতি

মঙ্গলবার, মে ২৮, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

আয়ারল্যান্ড: স্পেন, আয়ারল্যান্ড ও নরওয়ের পক্ষ থেকে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার ঘোষণা আসে গেল সপ্তাহেই। ইউরোপের এ তিন দেশের এমন ঘোষণায় ক্ষুব্ধ হয় ইসরাইল, জানায় আপত্তি। কিন্তু, সেই আপত্তি টেকেনি। অবশেষে যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে তিন দেশই। খবর টাইমস অব ইসরাইলের।

মঙ্গলবার (২৮ মে) তালিকার সর্বশেষ দেশ হিসেবে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় আয়ারল্যান্ড। এর পূর্কে, একই দিনে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেয় স্পেন ও নরওয়ে।

আইরিশ সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘মঙ্গলবার (২৮ মে) সকালে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ স্বীকৃতির অনুমোদন দেয়া হয়েছে।’

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘সরকার ফিলিস্তিনকে একটি সার্বভৌম ও স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় এবং ডাবলিন ও রামাল্লাহর মধ্যে পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে তারা সম্মত হয়েছে।’

রামাল্লাহ’য় আয়ারল্যান্ডের একটি পূর্ণ দূতাবাসের পাশাপাশি ফিলিস্তিনে আয়ারল্যান্ডের একজন রাষ্ট্রদূতও নিয়োগ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

আইরিশ প্রধানমন্ত্রী সাইমন হ্যারিস বলেছেন, ‘এ পদক্ষেপ শান্তির আশা বাঁচিয়ে রাখার জন্য।’

বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘আয়ারল্যান্ডের এ সিদ্ধান্ত আশা বাঁচিয়ে রাখার জন্য এবং এটা বিশ্বাস করা যে, ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের জন্য শান্তি ও নিরাপত্তায় পাশাপাশি থাকার একমাত্র উপায় হল দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান।’

আইরিশ প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমি ফের ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে আহ্বান জানাচ্ছি, পৃথিবীর কথা শুনতে ও গাজায় আমরা যে মানবিক বিপর্যয় দেখছি, তা বন্ধ করতে।’

এর পূর্বে, ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় স্পেন ও নরওয়ে। মঙ্গলবার (২৮ মে) দুই দেশের পক্ষ থেকেই এ ঘোষণা আসে বলে জানায় সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা ও ফ্রান্স টোয়েন্টি ফোর।

‘ন্যায়বিচারের দিকে ঐতিহাসিক পদক্ষেপ ও শান্তি অর্জনের একমাত্র পথ’ হিসেবে ফিলিস্তিনকে একটি রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে স্পেন। স্বীকৃতির ঘোষণায় এ কথাই জানিয়েছেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ।

মঙ্গলবার (২৮ মে) মন্ত্রিসভার বৈঠকের পূর্বে টেলিভিশন ভাষণে এ কথা বলেছেন স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ। এর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ব্যবস্থা অনুমোদন পেল।

সানচেজ বলেছেন, ‘এটি একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত, যার একমাত্র উদ্দেশ্য ইসরাইলি ও ফিলিস্তিনিদের শান্তি অর্জন।’

তিনি আরো বলেন, ‘ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি শুধুমাত্র ঐতিহাসিক ন্যায়বিচারের ব্যাপার নয়… আমরা সকলে যদি শান্তি অর্জন করতে চাই, তাহলে এটি এখন অপরিহার্য।’

এ পদক্ষেপ ‘কারো বিরুদ্ধে নয়, অন্তত ইসরাইলের বিরুদ্ধে নয়’ বলেও মন্তব্য করেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী।

তার মতে, এটি (ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি) সমাধানের দিকে অগ্রসর হওয়ার একমাত্র উপায়, যা শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যৎ অর্জনের একমাত্র সম্ভাব্য উপায় হিসেবে আমরা সকলে স্বীকার করি। এর মাধ্যমে শান্তি ও নিরাপত্তায় ইসরাইলের সাথে সহাবস্থান থাকবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রেরও।

স্পেনের এ ঘোষণার কিছুক্ষণ পর ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেয়ার ঘোষণা আসে নরওয়ের পক্ষ থেকেও। পরে একই ঘোষণা দেয় আয়ারল্যান্ড।

গেল সপ্তাহে স্পেন, আয়ারল্যান্ড ও নরওয়ে- এ তিন দেশের প্রধানমন্ত্রীর সমন্বিত ঘোষণায় ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিতে তাদের পরিকল্পনার ব্যাপারটি সামনে আসে।