রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

নিউইয়র্কের নাসাউ স্টেডিয়াম ভেঙে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে পার্ক

বৃহস্পতিবার, জুন ১৩, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র: টি-২০ বিশ্বকাপের শুরু থেকেই আলোচনায় ছিল যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়াম। যে স্টেডিয়ামের জন্মই হয়েছিল বিশ্বকাপের ম্যাচ আয়োজনের জন্য। পৃথিবীর প্রথম ‘মডিউলার’ ক্রিকেট স্টেডিয়াম বলা হচ্ছিল এটিকেই। স্টিল ও অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে তৈরি এ স্থাপনা চাইলেই করা যায় স্থানান্তর। বুধবার (১২ জুন) অনুষ্ঠিত ভারত-যুক্তরাষ্ট্র ম্যাচটাই ছিল এ ভেন্যুতে শেষ ম্যাচ।

যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্বকাপ আয়োজনের ঘোষণা দিয়েই বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছিল আইসিসি। আর সেই বিস্ময়কর কর্মযজ্ঞের একটা নিদর্শন নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়াম। শুধুমাত্র বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য এ স্টেডিয়াম নির্মাণ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এ মাঠে বিশ্বকাপের আর কোন ম্যাচ না থাকায় প্রয়োজনও ফুরিয়েছে অবকাঠামোর। তাই, থাকছে না আর এ স্টেডিয়ামও।

নিউইয়র্কের ইস্ট মিডো অঞ্চলে আইজেনহাওয়ার পার্কের একটা অংশে অস্থায়ী স্টেডিয়াম হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছিল নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়াম। মাত্র ১০৬ দিনে নির্মাণ সম্পন্ন করা হয় এ স্টেডিয়াম। ৩৪ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার এ স্টেডিয়ামের স্থাপনার সংযুক্তি খুলে ও বুলডোজারের মাধ্যমে ভাঙা অংশ অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। ক্রিকবাজ বুধবারই (১২ জুন) জানিয়েছিল, এ স্টেডিয়াম ভাঙার কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। ভারতের বার্তা সংস্থা এএনআই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে একটা ভিডিও পোস্ট করে, যেখানে দেখা যায় স্টেডিয়ামের পাশে অনেকগুলো বুলডোজার দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে।

স্টেডিয়ামটির বিভিন্ন সংযুক্তি ও কিছু স্থাপনা ভেঙে সরিয়ে ফেলতে প্রায় ছয় সপ্তাহ বা ৪২ দিনের মত সময় লাগবে বলে জানানো হয়েছে। স্থাপনাগুলো সরিয়ে নিলে ফের পূর্বের মত সাধারণ মানুষ অবাধে যাতায়াত করতে পারবেন।

স্টেডিয়ামের আউটফিল্ড পূর্বের মতই ঘাস, বালি আর কর্দমাক্তই রাখা হচ্ছে। তবে, ড্রপইন পিচের বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত এখনো জানা যায়নি। আইসিসির এক কর্মকর্তা ক্রিকবাজকে জানিয়েছেন, স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষ চাইলে এ উইকেট নিজেদের তত্ত্বাবধানে রেখে প্রয়োজনীয় রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারে অথবা আইসিসি নিজস্ব তত্ত্বাবধানে উইকেট অন্য জায়গায় সরিয়েও নিতে পারে।

বিশ্বকাপে নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়াম সমালোচিত হয়েছে এর ড্রপইন পিচের চরিত্র ও বাজে আউটফিল্ডের কারণে। এ মাঠে রান পেতে ব্যাটারদের প্রচুর সংগ্রাম করতে হয়েছে। তাই, প্রতিটি ম্যাচই হয়েছে লো স্কোরিং।