ঢাকা: বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার হৃদযন্ত্রে পেসমেকার বসানো হয়েছে। রোববার (২৩ জুন) বিকালে এভারকেয়ার হাসপাতালে তার হৃদযন্ত্রে পেসমেকার বসানো হয়। ব্যাপারটি নিশ্চিত করেছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডাক্তার এজেডএম জাহিদ হোসেন।
মেডিকেল বোর্ডের এক চিকিৎসক জানান, খালেদা জিয়ার হৃদযন্ত্রে পূর্ব থেকেই সমস্যা ছিল। হার্টে ব্লক ছিল, একটি স্টেন্ট লাগানো রয়েছে। এর মধ্যে গেল শুক্রবার (২১ জুন) গভীর রাতে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। তার হৃদযন্ত্র আচমকা বন্ধ হয়ে যায়। রক্ত সঠিকভাবে সঞ্চালন করতে পারেনি। এ জন্য তাকে গভীর রাতে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হয়। এ ছাড়া, খালেদা জিয়ার অন্য সমস্যাগুলোও প্রকট আকার ধারণ করে। সবকিছু পর্যালোচনা করে মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে পেসমেকার বসানো হয়েছে। পেসমেকার হৃদযন্ত্রকে ছন্দে চলতে সাহায্য করে। হৃদস্পন্দন ঠিক আছে কিনা, সেটাও এই যন্ত্রে বোঝা যায়।
ওই চিকিৎসক আরো জানান, এবারই প্রথম খালেদা জিয়া একটু নার্ভাস ছিলেন। শারীরিকভাবেও বেশ দুর্বল তিনি। তবে, সফলভাবে তার পেসমেকার বসানো হয়েছে।
খালেদা জিয়ার অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক বলে জানান ওই চিকিৎসক।
আচমকা শ্বাসকষ্ট বেড়ে গত শুক্রবার (২১ জুন) গভীর রাতে খালেদা জিয়াকে অ্যাম্বুলেন্সে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেয়া হয়। তাকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে রাখা হয়। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের অধীনে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি। মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা কয়েক দফা বৈঠকে বসে তার হৃদযন্ত্রে পেসমেকার লাগানোর সিদ্ধান্ত দেন। লন্ডন থেকে খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমান এবং যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ভার্চুয়ালি মেডিকেল বোর্ডের সভায় যুক্ত ছিলেন।
৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া আর্থ্রাইটিস, ফুসফুস, লিভার ও কিডনির সমস্যা এবং ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন। গেল চার বছরে বহু বার তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হয়।