খাগড়াছড়ি: টানা বর্ষণে খাগড়াছড়ি জেলার তিনটি নদীর পানি বৃদ্ধি ও পাহাড় ধসের ঘটনা ও নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সোমবার (১ জুলাই) দিবাগত রাত তিনটা থেকে চারটার দিকে জেলার সাপমারা নামের এলাকায় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রায় চার ঘন্টা খাগড়াছড়ির সাথে ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়ক যোগাযোগ বন্ধ ছিল।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকাল সাতটা ৪৯মিনিটে সড়ক থেকে মাটি সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে। খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিস লিডার মো. জসিম উদ্দিন ব্যাপারটি নিশ্চিত করেছেন।
এর পূর্বে, ভোরে টানা ভারী বর্ষণের ফলে মাটিরাঙ্গা উপজেলার সাপমারা এলাকায় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। এতে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহি বাসগুলো আটকা পড়ে। ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।
খাগড়াছড়ির ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মো. জাকির হোসেন জানান, পাহাড়ের মাটি সরিয়ে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে। তবে, সড়কে বেশ কয়েকটি স্থানে পাহাড় ধসের ঝুঁকি রয়েছে।
এ দিকে, টানা বর্ষণে নদ-নদীর পানি বেড়ে খাগড়াছড়ির নিচু এলাকায় প্লাবিত হয়েছে। চেঙ্গী ও মাইনী নদীর পানি বিপদ সীমার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে৷। এরমধ্যে খাগড়াছড়ি দীঘিনালা, লংগদু, বাঘাইছড়ি, সাজেক ও রাংগামাটি খাগড়াছড়ি সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ার কারণে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। এতে করে যাত্রী ও পর্যটকদের দূর্ভোগে পড়তে হয়েছে। সাজেকের সাথে খাগড়াছড়ির সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হবার কারনে প্রায় ৭ শত পর্যটক আটকা পড়েছে।
এ ছাড়া, জেলা সদরের মুসলিমপাড়া ও গঞ্জপাড়াসহ কয়েকটি নিচু এলাকায় পানি উঠেছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে আরো বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হওযার আশংকা রয়েছে।