সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে একাই বিমান চালাল বাংলাদেশি কিশোর

বুধবার, জুলাই ৩, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

যুক্তরাষ্ট্র: যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে একাই বিমান চালিয়ে সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে ১৬ বছরের স্বপ্নবাজ কিশোর আহনাফ আবিদ মাহির। নিজের ১৬তম জন্মদিন রোববার (৩০ জুন) সকালে বেশ কয়েক বার নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলায় ভেসে ফের মাটিতে নেমে এসেছে সে। পুত্রের আকাশে ভেসে বেড়ানোর স্বপ্ন পূরণ দেখে আনন্দে ভাসেন পিতা-মাতাসহ বিমানবন্দরে উপস্থিত শুভাকাঙ্কীরা।

নয় বছর পূর্বে পিতা মইনুল হক ও মাতা আয়শা রুমার সাথে বাংলাদেশ থেকে বিমানে চেপে যুক্তরাষ্ট্রে অবতরণ করেন ছোট্ট মাহির। সেই বিমানে চড়া থেকেই নীল আকাশে ডানা মেলে ওড়ার স্বপ্নটা তার। বড় পুত্রের স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে আসেন পিতা-মাতা। তাকে ভর্তি করা হয় লস অ্যাঞ্জেলেসের একটি ফ্লায়িং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে। সেখানে চলে দীর্ঘ প্রশিক্ষণ। প্রশিক্ষণকালে প্রশিক্ষককের পাশে বসে বিমান চালালেও এবার সে একাই বিমান নিয়ে আকাশে উড়ল।

মইনুল হক বলেন, ‘এটা আমার নিকট বহু বড় পাওয়া। আমি আল্লাহর নিকট শুকরিয়া জানাই।’

আয়শা রুমার বলেন, ‘সকলের নিকট দোয়া চাই, যেন সে ভবিষ্যতে এটা ধরে রাখতে পারে।’

মাহিরের ফ্লাইট ইনস্ট্রাক্টর ছিলেন বাংলাদেশি ইলিয়াস খান। তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের নিয়ম অনুযায়ী ১৬ বছরে পা রাখার দিন থেকে একা বিমান চালানোর অনুমতি নিয়ে সে প্রথম বিমান চালিয়েছে। ফ্লাইট ইনস্ট্রাক্টরের বিশেষ লিখিত অনুমোদন সাপেক্ষে পরবর্তী এক বছর যাত্রীবিহীন কেবলমাত্র প্রশিক্ষণ বিমানই চালাতে পারবে মাহির। এরপর ১৭ বছর পূর্ণ হলে প্রাইভেট পাইলট সার্টিফিকেট পাবে। তখন বাণিজ্যিক নয় এমন এক ইঞ্জিন বিশিষ্ট বিমান চালানোর অনুমতি পাবে মাহির। ধাপে ধাপে হবে দক্ষ পাইলট।

ইলিয়াস খান বলেন, `মাহির আরো ছয় মাস পূর্ব থেকেই একা উড়োজাহাজ চালানোর জন্য প্রস্তুত হয়ে আছে। বয়সের জন্য ৩০ জুন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে।’

আকাশ ভ্রমণের ভাল লাগাকে পেশা হিসেবে নিতে আগ্রহী মাহির জানায় তার অনুভূতির কথা। সে বলে, ‘আমি খুবই এক্সাইটেড। সকলে আমার জন্য দোয়া করবেন।’

যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম কোন বাংলাদেশি হিসেবে মাহিরের এ সাফল্যে খুশি প্রবাসী বাংলাদেশিরা। দেশটিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের নয়া প্রজন্মের অনেকেই পাইলটকে এখন বেছে নিচ্ছেন তাদের অন্যতম প্রধান পেশা হিসেবে। তাদের ধারণা, এ পেশা তাদের আরো সাফল্য এনে দেবে।