সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

রক্তাক্ত ট্রাম্প নিরাপদে আছেন

রবিবার, জুলাই ১৪, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

পেনসিলভানিয়ায়, যুক্তরাষ্ট্র: যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। শনিবার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যা ছয়টা ১৫ মিনিটের দিকে পেনসিলভানিয়ায় নির্বাচনী প্রচারণা সভায় এ হামলা চালানো হয়।

সিক্রেট সার্ভিস জানিয়েছে, ট্রাম্প এখন নিরাপদে আছেন।

এক্সে পোস্ট করা মন্তব্যে সিক্রেট সার্ভিস বলেছে, ‘প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট এখন নিরাপদে আছেন।’

এছাড়া, ট্রাম্পের প্রচার শিবির থেকেও বলা হয়েছে, ‘তিনি নিরাপদে ও সুস্থ আছেন।’

একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, ট্রাম্প মঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন। এ সময় আচমকা গুলির শব্দ হয়। সাথে সাথে তিনি মঞ্চে বসে পড়েন। এ সময় তার সমর্থকদের চিৎকার করতে শোনা যায়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও সিক্রেট সার্ভিস জানিয়েছে, সমাবেশস্থলের কাছে একটি এক তলা ভবনের ছাদ থেকে মঞ্চ লক্ষ্য করে পরপর কয়েকটি গুলি করা হয়।

গুলি লাগার পর ট্রাম্প ডান হাত দিয়ে তার ডান কান চেপে ধরেন। এরপর হাঁটু গেড়ে মঞ্চে বসে পড়েন তিনি। দ্রুত ছুটে আসেন সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা। ঘিরে ফেলেন ট্রাম্পকে।
এরপর সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা ট্রাম্পকে দ্রুত একটি গাড়িতে তোলেন। এ সময় ট্রাম্পের কান ও গাল বেয়ে রক্ত পড়তে দেখা যায়। ওই গাড়িতে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসা শেষে তিনি ভাল আছেন বলে তার প্রচার শিবির থেকে বলা হয়েছে।

এ দিকে, হামলার পর ট্রুথ সোশ্যালে দেয়া পোস্টে ট্রাম্প সিক্রেট সার্ভিস ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। হামলাকারী গুলি ছোড়ার সাথে সাথেই দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ায় তিনি তাদের ধন্যবাদ দেন। দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ায় ট্রাম্পের মেয়ে ইভাঙ্কাও সিক্রেট সার্ভিস ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।

জেলা অ্যাটর্নি রিচার্ড গোলডিঞ্জার জানিয়েছেন, সন্দেহভাজন হামলাকারী পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। একজন সমর্থকও নিহত হয়েছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রে নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মাত্র মাস চারেক পূর্বে ট্রাম্পের ওপর কেন হামলা হল, সেটা এখনো জানা যায়নি। তবে এ ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

এ দিকে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বিবৃতিতে এ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, ‘আমরা এ ধরনের ঘটনা মেনে নিতে পারি না।’

তিনি আরো বলেছেন, ‘তিনি নিরাপদ ও ভাল আছেন জেনে আমি কৃতজ্ঞ।’

যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডিকে ১৯৬৩ সালে খুন করা হয়। তার ভাই ববি কেনেডি ১৯৬৮ সালে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এছাড়া, ১৯৮১ সালে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যানও হত্যা চেষ্টা থেকে বেঁচে যান।