মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি

রবিবার, জুলাই ১৪, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডাক্তার রফিকুল ইসলাম। রোববার (১৪ জুলাই) তিনি এ তথ্য জানান।

রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অবনতির দিকে। প্রতি বারই তাকে হাসপাতালে জরুরি ভিত্তিতে নিয়ে আসতে হচ্ছে, এটি খুবই উদ্বেগজনক। এবার হাসপাতালে ভর্তির পর তার অবস্থা আরো আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে।’

শুক্রবার (১২ জুলাই) রাত থেকে খালেদা জিয়ার লিভারের সমস্যা বেড়েছে, যাকে আশঙ্কাজনক বলছেন চিকিৎসকরা। তারা জানান, গেল চার দিনে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কোন উন্নতি হয়নি, বরং দিনে দিনে অবনতি হচ্ছে। তার হার্ট ও লিভারসহ শারীরিক অন্য প্যারামিটার বেশ অস্বাভাবিক। মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা বিভিন্নভাবে চিকিৎসা অব্যাহত রেখেছেন।

গেল ৭ জুলাই দিবাগত রাতে গুলশানের বাস ভবন ফিরোজায় খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে জরুরি ভিত্তিতে সোমবার (৮ জুলাই) ভোর চারটা ৪৫ মিনিটে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

বলে রাখা ভাল, ডায়াবেটিস, আর্থারাইটিস এবং হৃদরোগ ছাড়াও ফুসফুস, লিভার ও কিডনি সংক্রান্ত বিভিন্ন জটিল রোগে দীর্ঘ দিন ধরে ভুগছেন খালেদা জিয়া। ২০২১ সালের এপ্রিলে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে বেশ কয়েক বার অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছে তাকে। ইদানীং তার শারীরিক অবস্থার ঘন ঘন পরিবর্তন ঘটছে।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের সাজা নিয়ে কারাগারে গিয়েছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। ওই বছরের অক্টোবরে হাইকোর্টে আপিল শুনানি শেষে সাজা বেড়ে হয় দশ বছর। এরপর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও আরো সাত বছরের সাজা হয় বিএনপির নেত্রীর। তিনি তখনো পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন সড়কের কারাগারে ছিলেন।

দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর পরিবারের আবেদনে ২০২০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করে খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করেন ছয় মাসের জন্য। ওই বছরের ২৫ মার্চ মুক্তি পাওয়ার পর থেকে গুলশানে নিজ বাড়িতে রয়েছেন খালেদা জিয়া।