ফ্লোরিডা, যুক্তরাষ্ট্র: লিওনেল মেসির দ্বিতীয়ার্ধের ইনজুরি কাটিয়ে লাউতারো মার্টিনেজের ১১২ মিনিটের গোলে কলম্বিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় বারের মত কোপা আমেরিকা শিরোপা জিতেছে আর্জেন্টিনা। ৬৪ মিনিটে দৌড়াতে দৌড়াতে পড়ে গিয়ে চোট পেয়ে বেঞ্চে বসে কাঁদতে কাঁদতে হাত দিয়ে মুখ ঢেকে ফেলেন মেসি। আর্জেন্টিনাকে রেকর্ড ১৬তম কোপা শিরোপা জেতার পর তার অধিনায়ককে জড়িয়ে ধরতে তার কাছে ছুটে যান মার্টিনেজ।
ফ্লোরিডার হার্ড রক স্টেডিয়ামে দর্শক সমস্যার কারণে এক ঘণ্টা ২২ মিনিট দেরিতে শুরু হয় ম্যাচটি। আর্জেন্টিনা ২০২১ কোপা আমেরিকা ও ২০২২ বিশ্বকাপের পর ২০২৪ সালে তৃতীয় বড় শিরোপা জিতল। এর পূর্বে এ রকম একটি রেকর্ড ছিল স্পেনের। ২০১০ বিশ্বকাপের আগে ২০০৮ ও ২০১২ ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছিল তারা।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে আলবিসেলেস্তেদের কাছে হারের পর কলম্বিয়ার টানা ২৮ ম্যাচ অপরাজিত ছিল। সেই ধারাবাহিকতা থামিয়ে দিল আর্জেন্টিনা।
ম্যাচের ৯৭ মিনিটের মাথায় নামেন মার্টিনেজ এবং জিওভানি লো সেলসোর নিখুঁত পাস থেকে গোল করেন মার্তিনেজ। পেনাল্টি এরিয়ার ঠিক ভেতরে ডান পায়ের শট নিয়ে স্লাইডিং গোলরক্ষক ক্যামিলো ভার্গাসের বাহুর নিচে দিয়ে তার ২৯তম আন্তর্জাতিক গোলটি করেছিলেন মার্টিনেজ। এ টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ পাঁচ গোল তার।
৩৭ বছর বয়সে ৩৯তম ও সম্ভবত শেষ কোপা আমেরিকায় অংশ নেওয়া মেসির একটি গোল ছিল। প্রথমার্ধে গোড়ালিতে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়লেও খেলায় টিকে যান তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে পড়ে যান আট বারের ব্যালন দ’র জয়ী তারকা। তিনি এমনভাবে বেঞ্চের দিকে তাকিয়েছিলেন, মনে হচ্ছিল তার টুর্নামেন্ট শেষ হয়ে গেছে। ডান পায়ের বুট খুলে হতাশায় আঘাত করলেন তিনি। তার গোড়ালি ফুলে উঠেছিল।
স্থানীয় সময় রাত আটটায় ম্যাচটি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও স্টেডিয়ামের বাইরে ভিড় নিয়ন্ত্রণের সমস্যার কারণে তা শুরু হয় নয়টা ২২ মিনিটে। ২০২৬ বিশ্বকাপের জন্য নির্মিত ওই ভেন্যুর সুরক্ষা গেট সমর্থকদের ভিড়ে ভেঙে যায়।
নর্থ ক্যারোলিনার শার্লটে সেমিফাইনাল ম্যাচ শেষে উরুগুয়ের খেলোয়াড়রা কলম্বিয়ার সমর্থকদের সাথে মারামারিতে জড়িয়ে পড়ার কয়েক দিন পর ভিডিওতে দেখা যায়, সমর্থকরা চ্যাম্পিয়নশিপ ম্যাচে ঢোকার জন্য বেড়া ও রেলিং বেয়ে উঠছেন। কারা টিকিট কিনেছেন আর কারা কিনেননি, তার হিসাব রাখতে পারছিলেন না কর্মকর্তারা।
প্রথমার্ধে কলম্বিয়া বেশ আক্রমণাত্মক ছিল ও চাররবার আক্রমণ করে গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজকে চাপের মধ্যে রেখেছিল। তবে, আর্জেন্টিনা দ্বিতীয়ার্ধে আরো আক্রমণাত্মক হয়ে উঠে।
৭৫ মিনিটে নিকোলাস তাগলিয়াফিকো গোল করলেও তা অফসাইডে বাতিল হয়ে যায়। মেসির বদলে দলে এসেছেন নিকোলাস গঞ্জালেজ। ৯৫ মিনিটে ভার্গাসের একটি প্রচেষ্টা ঠেকিয়ে দেন তিনি।