রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

কোটা আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ: জাতিসংঘ ভবনের সামনে প্রবাসী বাংলাদেশীদের বিক্ষোভ

বৃহস্পতিবার, আগস্ট ১, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

নিউইয়র্ক সিটি, যুক্তরাষ্ট্র: বাংলাদেশের বৈষম্য বিরোধী কোটা আন্দোলনে পুলিশের গুলি ও বর্বরোচিত হামলা, সহিসংসতায় প্রাণহানী এবং মানবাধিকার লংঘনের প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটির জাতিসংঘ ভবনের সামনে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন প্রবাসী বাংলাদেশীরা।

বুধবার (৩১ জুলাই) বিকালে ‘সেইভ বাংলাদেশ’-এর ব্যানোরে এ কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়। পরে সংগঠনের প্রেসিডেন্ট জাহিদ খান ও সমন্বয়কারী সৈয়দ আল আমীন রাসেল জাতিসংঘের মহাসচিব বরাবর স্মারকলিপি দেন।

বিক্ষোভ-সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা মাথায় জাতীয় পতাকা আর লাল কাপড় পড়ে তাদের দাবী-দাওয়া সম্বলিত প্লাকার্ড নিয়ে স্লোগান তুলেন। এ সময় তারা শেখ হাসিনা সরকারেরও পদত্যাগ দাবী করেন।

এর পূর্বে একই দাবীতে নিউইয়র্ক সিটির ম্যাহাটানের ঐতিহাসিক টাইম স্কায়ার, বাংলাদেশ কনস্যুলেটের সামনে ও জাতিসংঘের সামনেও হয়েছে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ।

জাতিসংঘ ভবনের সামনে আয়োজিত বিক্ষাভ সমাবেশে বাংলাদেশী-আমেরিকান শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গসহ নিউইর্কের সর্বস্তরের প্রবাসী বাংলাদেশীরা অংশ নেন। তারা দেশের সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবীর প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন।

সমাবেশে সেভ বাংলাদেশের নিউইয়র্ক চ্যাপ্টারের সমন্বয়কারী মাসুদুর রহমান, প্রেসিডেন্ট জাহিদ খান, সমন্বয়কারী সৈয়দ আল আমীন রাসেল, তুহিন আনোয়ার, ইমরান আনসারী, রওশন হক, রাব্বী সৈয়দ, কনা কামরুন বক্তব্য দেন। সমাবেশের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে যোগ দেন সঙ্গীত শিল্পীরা।

জাতিসংঘের মহাসচিবকে দেয়া স্মারকলিপিতে কোটা আন্দোলনের চলমান পরিস্থিতি তুলে ধরার পাশাপাশি এ আন্দোলনে ছয় বছরের শিশু ও ফিফথ গ্রেডের শিক্ষার্থী ছাড়াও ১১ বছরের বালকসহ ২৬৬ জন নিহত (এ পর্যন্ত) এবং বাংলাদেশে চরম মানবাধিকার লংঘনের কথা তুলে ধরা হয়। স্মারিকলিপিতে দেশের চলমান পরিস্থিতিতে জাতিংঘের দায়িত্বশীল ভূমিকা কামনা, সুষ্ঠু তদন্ত ও হত্যাকান্ডের বিচার এবং নোবেল পুরষ্কার জয়ী মুহাম্মদ ইউনূস প্রস্তাবিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনের অবাধ নির্বাচনের দাবীসহ পাঁচ দফা দাবীর কথা উল্লেখ করা হয়।

এ দিকে, জাতিসংঘের সামনের বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচীর পর বুধবার (৩১ জুলাই) সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের নবান্ন রেষ্টুরেন্টের মিলনায়তনে ‘সেভ বাংলাদেশ’-এর পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে জাতিসংঘের কর্মসূচী সফল করায় প্রবাসীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও আগামীতে আরো কর্মসূচী পালন করা হবে বলে জানানো হয়।