মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

খালেদা জিয়াকে বন্দি করে হত্যার অপচেষ্টা করেছিল ফ্যাসিস্ট হাসিনা

শুক্রবার, আগস্ট ১৬, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

চট্টগ্রাম: বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মীর হেলাল বলেন, ‘তিন বারের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে বন্দি করেছিল ফ্যাসিস্ট হাসিনা। তাকে চিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছিল। আদালতকে ব্যবহার করে খুবই ন্যাক্কারজনকভাবে খালেদা জিয়ার বাড়ি কেড়ে নিয়েছিল। একজন বীরোত্তমের সহধর্মিনী ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে জোর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার ঘটনা বাংলাদেশের জনগণ আজো ভুলেনি। বাংলাদেশে সংসদীয় গণতন্ত্র চালু করেছিল খালেদা জিয়া। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে খালেদা জিয়ার অবদান অবিস্মরণীয়। তিনি আপোসহীন দেশনেত্রী হিসেবে পুরো বিশ্বে একজন সুপার উইমেন হিসেবে পরিচিত। খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা বন্দি করার পিছনে যারা জড়িত ছিল, সবাইকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।’

শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বাদ জুমা ওদুদিয়া জামে মসজিদে হাটহাজারী বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ৮০তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে তার দীর্ঘায়্যু ও সুস্থতা কামনা এবং সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত ও আহতদের সুস্হতা কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

এতে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মীর হেলাল আরো বলেন, ‘বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগ ইতিহাসের পাতায় উজ্জ্বল হয়ে থাকবে। বাংলাদেশের জনগণ শ্রদ্ধাভরে তাদের আজীবন স্মরণ রাখবে। গেল ১৬ বছরে বিএনপির বহু নেতাকর্মী গুম-খুনের শিকার হয়েছে। লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মী মিথ্যা মামলায় জেল, জুলুম ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে। বহু নিরাপরাধ নেতাকর্মীকে আয়না ঘরে বন্দি রেখে নির্মমভাবে খুন করেছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফরমায়েশি সাজা দেয়া হয়েছে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে সকলের ত্যাগ বিএনপি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ রাখবে।’

দোয়া মোনাজাতে খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আহত ত্যাগী নেতৃবৃন্দের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করা হয়। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, বিএনপিন নেতা ইলিয়াস আলীসহ গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নিহত শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়।

এতে উপস্থিত ছিলেন হাটহাজারী উপজেলা বিএনপির আহবায়ক নূর মোহাম্মদ, হাটহাজারী পৌরসভা বিএনপির আহবায়ক জাকের হোসেন, হাটহাজারী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. গিয়াসউদ্দিন, যুগ্ম আহবায়ক রফিকুল আলম চৌধুরী, হাটহাজারী পৌরসভা বিএনপির সদস্য সচিব মো. অহিদুল আলম, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মো. আব্দুল শুক্কুর, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মো. আকবর আলী, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুল আলম জনি, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নাছির উদ্দীন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা জাসাসের সভাপতি কাজী সাইফুল ইসলাম টুটুল, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মো. তকিবুল হাসান চৌধুরী তকি, হাটহাজারী উপজেলা বিএনপির সদস্য ইলিয়াস চৌধুরী, মো. ইসমাইল হোসেন, রহমতুল্লাহ, মো. আইয়ুব খান, সালাউদ্দিন আলী, হাটহাজারী পৌরসভা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মো. আব্দুল মন্নান দৌলত, রিয়াদ, বুড়িশ্চর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এসএম ফারুক, মেখল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জিএম সাইফুল ইসলাম, ধলই ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. আজম ও সাধারণ সম্পাদক মো. নাসিম, মির্জাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. ইয়াকুব মেম্বার, দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহান মঞ্জু, ফতেহপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল্লাহ মিন্টু, চট্টগ্রাম জেলা জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসাইন উজ্জ্বল, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক সরোয়ার জাহান পুতুল, হাটহাজারী উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মো. নুরুল কবির তালুকদার, হাটহাজারী উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক জিএম কামরুদ্দিন নাহিদ, কাজী মুহাম্মদ এরশাদ উদ্দিন, মো. আবুল হোসেন, হাটহাজারী উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মো. এমরান চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মো. আলাউদ্দিন তালুকদার, হাটহাজারী উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব গাজী আবদুল মুবিন, হাটহাজারী পৌরসভা যুবদলের সদস্য সচিব মো. হেলাল উদ্দিন, হাটহাজারী পৌরসভা সেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মো. আরেফিন সাইফুল, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা জাসাসের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন তালুকদার, হাটহাজারী পৌরসভা ছাত্রদলের আহবায়ক মো. রেজাউল করিম চৌধুরী রকি ও সদস্য সচিব মো. শাহেদ খাঁন, হাটহাজারী পৌরসভা শ্রমিক দলের সভাপতি মো. কামাল উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মো. রুবেল, হাটহাজারী উপজেলা মৎসজীবী দলের সভাপতি মো. শফিউল আলম।