শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

ফেনীতে কমছে বন্যার পানি

রবিবার, আগস্ট ২৫, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

ফেনী: ফেনীতে বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। পরশুরাম, ফুলগাজী, ছাগলনাইয়াতে ইতিমধ্যে বন্যার পানি উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। ফেনী শহরেও পানি কমছে। তবে, সোনাগাজী, দাগনভূঞাতে বন্যা পরিস্থিতি অবনতির দিকে রয়েছে। আজ রোববার (২৫ আগস্ট) তথ্যগুলো ফেনী জেলা প্রশাসন সূত্র নিশ্চিত করেছে।

শহরে তিন দিন পর কয়েকটি সড়ক থেকে পানি নেমেছে। শহরের উকিল পাড়ার বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম জানান, গেল শুক্রবার (২৩ আগস্ট) তার বাসার একতলা পানিতে নিমজ্জিত ছিল, আজ রোববার (২৫ আগস্ট) সকালে পানি সরে গেছে।

মিজান রোডের বাসিন্দা বশির উদ্দিন জানান, পানি নেমে গেছে। তবে, বিদ্যুৎ, মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় বিপত্তি রয়ে গেছে।

বিশুদ্ধ পানির খোঁজে শহরের ট্রাঙ্করোডে আসা একাডেমি এলাকার বাসিন্দা শিমুল খান জানান, গেল দুই দিন সেখানে ১২ ফুট উচ্চতার বেশি বন্যার পানি প্রবাহিত হয়েছে। এখন কমে নিচতলায় হাঁটুজল রয়েছে।

দাগনভূঞা শহরতলীর বাসিন্দা পলাশ তালুকদার জানান, বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) তার ঘরে পানি ঢুকেছে। এরপর স্বপরিবারে ঘর থেকে বেরিয়ে গেছেন। পানি শনিবার (২৪ আগস্ট) রাতেও বেড়েছে।

সোনাগাজীর মঙ্গলকান্দি ইউনিয়নের বক্তারমুন্সির বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা আতিকুর রহমান জানান, দুই দিন ধরে পানিবন্দি রয়েছেন।

মতিগঞ্জ ইউনিয়নের বাসিন্দা রহমান মিজান জানান, দৃষ্টিজুড়ে পানি, শুকনো স্থান চোখে পড়ছে না।

বন্যাদুর্গত এলাকায় স্বেচ্ছাসেবকদের উদ্ধার তৎপরতা উল্লেখযোগ্যহারে লক্ষ্য করা গেছে। সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি দুই শতাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বন্যার্তদের উদ্ধার এবং শুকনো খাদ্য সহায়তায় ভূমিকা পালন করছে বলে জানিয়েছেন জেলার প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার।

ত্রাণ ও পুনর্বাসন শাখা সূত্র জানায়, সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে গতকাল শনিবার (২৪ আগস্ট) পর্যন্ত ৫০ হাজার মানুষকে উদ্ধার করে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যে ৪০ হাজার প্যাকেট শুকনো খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে। ৪০ লাখ টাকা ও দুই হাজার টন চাল ত্রাণকার্যের জন্য বরাদ্দ এসেছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে খিচুড়ি ও শুকনা খাদ্যের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার বলেন, সেনাবাহিনী, কোস্টগার্ড, র‌্যাব, ফায়ার সার্ভিস ও ছাত্র-জনতার সমন্বয়ে উদ্ধার কাজ চলমান। নৌকা ছাড়াও হেলিকপ্টারের মাধ্যমেও শুকনো খাদ্য বিতরণ করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ফেনী জেলার অধিকাংশ এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক অচল রয়েছে, বিদ্যুৎ সংযোগ দুই-তৃতীয়াংশ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।