শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

পিলখানা হত্যাকান্ড: শেখ হাসিনা-আজিজসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা নথিভুক্ত

রবিবার, আগস্ট ২৫, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: পিলখানা হত্যাকান্ডের ঘটনায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রাক্তন সেনাপ্রধান (হত্যাকান্ডের সময় বিজিবির প্রধান) জেনারেল আজিজ আহমেদসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলার করা হয়েছে। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে মামলাটি নথিভুক্তের আদেশ দেন। ২০০৯ সালের পিলখানা হত্যাকান্ডে কারা অভ্যন্তরে তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) প্রাক্তন উপ-সহকারী পরিচালক (ডিএডি) আব্দুর রহিমের মৃত্যুর ঘটনায় এ মামলা করা হয়।

আজ রোববার (২৫ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আক্তারুজ্জামানের আদালতে আব্দুর রহিমের ছেলে এডভোকেট আব্দুল আজিজ বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

আব্দুল আজিজ বলেন, ‘পিলখানা হত্যাকান্ডে কারা আব্দুর রহিমের মৃত্যুর ঘটনায় শেখ হাসিনা ও আজিজ আহমেদসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।’

তিনি জানান, ২০১০ সালে বিডিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় যে অপমৃত্যুর মামলাটি হয়েছে, তা রিকল করেছেন। অপমৃত্যুর মামলার সর্বশেষ অবস্থা দেখে আদালত এ মামলার আদেশ দেবেন। বর্তমান সরকারের সময় পিলখানা হত্যাকান্ড নিয়ে প্রথম মামলা হতে যাচ্ছে এটি। এ মামলায় আজিজ আহমেদকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। আর দ্বিতীয় আসামি হলেন বিডিআর বিদ্রোহের মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) মোশাররফ হোসেন কাজল, আসামির তালিকায় শেখ হাসিনা রয়েছেন চতুর্থ স্থানে। বাকি আসামিরা হলেন প্রাক্তন কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আশরাফুল ইসলাম খাঁন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রাক্তন মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, প্রাক্তন সাংসদ নূরে আলম চৌধুরী লিটন, শেখ সেলিম ও শেখ হেলাল, প্রাক্তন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবীর নানক, প্রাক্তন সাংসদ ও আওয়ামী লীগের নেতা মির্জা আজম, প্রাক্তন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, কেন্দ্রীয় কারাগারের তৎকালীন জেল সুপার ডাক্তার রফিকুল ইসলামসহ অন্য ডাক্তাররা। এছাড়াও, হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত মন্ত্রী সাংসদহ অজ্ঞাত আরো ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, হাসিনা সরকার বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্যে তাদের বিদেশী এজেন্টের মাধ্যমে ২০০৯ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ রাইফেলসের মেধাবী অফিসারদের খুন করে। ২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারী পিলখানা হত্যাকান্ডে ৫৭ জন সেনা অফিসারসহ ৭৪ জনকে খুন করা হয়। এ হত্যাকান্ডের রাজসাক্ষী হওয়ার জন্য ভুক্তোভোগীকে বিভিন্ন লোভনীয় প্রস্তাব দেয়া হচ্ছিল। তবে, তিনি অন্যায় ও মিথ্যা রাজসাক্ষী দিতে চাননি। তাই, বাদীর পিতা আব্দুর রহিমকে ২০১০ সালের ২৯ জুলাই ঢাকা কেন্দ্রীয় করাগারে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়। পরে কারাগারে ডাক্তাররা স্ট্রোক করে মারা গেছে বলে সার্টিফিকেট দেয়। আব্দুর রহিমের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে এ মামলা করা হয়।