ওয়াশিংটন, যুক্তরাষ্ট্র: আগামী ৫ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন দুই প্রার্থী কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই জনপ্রিয়তায় এগিয়ে যাচ্ছেন কমলা। তবে, যে কোন মূল্যে ডেমোক্র্যাট প্রার্থীকে ঠেকাতে মরিয়া ডোনাল্ড ট্রাম্প।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে অনেকটা অপ্রতিরোধ্য গতিতেই ধাবিত হতে দেখা যায় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। অনেকে ধরেই নেন, দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতার পথে ট্রাম্প। প্রথম বিতর্কে জো বাইডেনকে ধরাশায়ী করায় ভূমিধস বিজয়ের কথাও বলেন কেউ কেউ। এ দৃশ্যপট নির্বাচন থেকে জো বাইডেনের সরে যাওয়ার পূর্বের।
তবে, অনেকটা নাটকীয়ভাবে বাইডেন চলে যাওয়ার ঘটনা ট্রাম্পের জন্য যেন বিনা মেঘে বজ্রপাতের মত। কমলা হ্যারিস বাইডেনের স্থলাভিষিক্ত হওয়ার পর থেকে বদলে যায় পুরো চিত্র। চালকের আসনে বসেন কমলা।
এখন পর্যন্ত বেশির ভাগ জনমত জরিপে এগিয়ে রয়েছেন কমাল হ্যারিস। রয়টার্সের সবশেষ জাতীয় জনমত জরিপ অনুসারে, পুরো দেশে ট্রাম্পের চেয়ে কমলা হ্যারিস চার পয়েন্টে এগিয়ে। শুধু তাই নয়, ট্রাম্পের সমর্থক হিসেবে পরিচিত ফক্স নিউজের সর্বশেষ জরিপে ‘সান বেল্ট’ হিসেবে পরিচিত চারটি অঙ্গরাজ্যের তিনটিতে এগিয়ে কমলা।
৫৯ বছর বয়সি কমলার এমন অব্যাহত সাফল্যে দিশেহারা ৭৮ বছর বয়সী ট্রাম্প। কমলাকে কটাক্ষ করে তীর্যক মন্তব্যের মাত্রা বাড়িয়েছেন তিনি। তার বিভিন্ন বেফাঁস বক্তব্যে নিজের সমর্থকেরাই বিব্রত হচ্ছে।
সাম্প্রতিক ট্রাম্পের বিরামহীন মিথ্যে আর অসামাঞ্জস্য কথাবার্তা শুনে তার মানসিক ভারসাম্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস বলছে, ‘লোকটা আসলে মানসিক রোগে ভুগছেন।’
পাবলিক রেডিও এনপিআর জানিয়েছে, ফ্লোরিডায় তার মার-আ-লাগো বাস ভবনের সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প ১৬২টি মিথ্যা কথা বলেন। ওয়াশিংটন পোস্ট গেল চার বছরে ট্রাম্পের বলা মিথ্যার যে হিসাব রেখেছে, তা এরই মধ্যে ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে।
কামালা ঝড়ে বিপর্যস্ত ট্রাম্প এখন ঘুড়ে দাঁড়াতে প্রাণপণ চেষ্টা চালালেও তার কথার লাগাম না টানলে সহসা সুফল মিলছেনা বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। অন্য দিকে, ট্রাম্পের এমন পাগলামি কমলা হ্যারিস ও তার প্রচার শিবির বেশ উপভোগ করে নীরবে এগিয়ে যাচ্ছেন।