বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

এক বছরের সিলেবাসে হবে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা; ফিরছে বিজ্ঞান-মানবিক-বাণিজ্য বিভাগ

সোমবার, সেপ্টেম্বর ২, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: এসএসসি হবে এক বছরের সিলেবাসে। মাধ্যমিক শিক্ষাক্রমে ফের ফিরছে বিজ্ঞান-মানবিক-বাণিজ্য বিভাগ। রোববার (২ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে উপসচির মোসাম্মৎ রহিমা আক্তার স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

নয়া শিক্ষাক্রমে বিভাগ বিভাজন (বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য) নেই। ফলে, শিক্ষার্থীরা নবম শ্রেণিতেও একই পাঠ্যবই পড়ছে। তবে, তারা যখন দশম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হবে, তখন বিভাগ বিভাজনের সুযোগ পাবে। আগের নিয়মে শিক্ষার্থীরা যাতে আগামী বছর ২০২৬ সালের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে, সেজন্য সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচি প্রণয়ণ করা হবে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘২০২৫ সালে দশম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা (২০২৬ সালে অনুষ্ঠিতব্য) নেয়ার লক্ষ্যে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখা অব্যাহত রেখে পূর্বের জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০১২’-এর আলোকে প্রণীত সংশোধিত ও পরিমার্জিত পাঠ্যপুস্তকগুলো (অর্থাৎ ২০২৩ শিক্ষা বর্ষে ব্যবহৃত পুস্তক) শিক্ষার্থীদের সরবরাহ করা হবে। জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০১২ অনুসারে প্রণীত শাখা-বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষাভিত্তিক এ পাঠ্য পুস্তকগুলোর একটি সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচি প্রণয়ন করা হবে- যাতে শিক্ষার্থীরা এক শিক্ষা বর্ষের (অর্থ্যাৎ ২০২৩ সালের শিক্ষা বর্ষে ব্যবহৃত পাঠ্যবই) পাঠ্যসূচি সম্পন্ন করতে পারে। পাঠদান ও মূল্যায়ন পদ্ধতি জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০১২ অনুসারে পরিচালিত হবে। বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষাভিত্তিক এ পাঠ্যসূচি শিক্ষার্থীদের এক শিক্ষা বর্ষের মধ্যে শেষ করে, এ শিক্ষার্থীরা ২০২৬ সালে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবেন।

এতে আরো বলা হয়, ‘যেসব শিক্ষার্থী ২০২৫ সালে নবম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হবে, তাদেরকে জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০১২’-এর আলোকে প্রণীত শাখা ও গুচ্ছভিত্তিক সংশোধিত ও পরিমার্জিত পাঠ্যপুস্তকগুলো (২০২৩ শিক্ষা বর্ষে ব্যবহৃত) দেয়া হবে। এসব শিক্ষার্থী নবম ও দশম শ্রেুণি মিলে দুই শিক্ষা বর্ষে সম্পূর্ণ পাঠ্যসূচি শেষে ২০২৭ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নেবে।’

নির্দেশনায় আরো বলা হয়, ‘শিক্ষাবিদ, শিক্ষাক্রম বিশেষজ্ঞ, প্যাডাগগ, মূল্যায়ন বিশেষজ্ঞ, সংশ্লিষ্ট বিষয় বিশেষজ্ঞ, সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রশাসক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও অভিভাবক প্রতিনিধিদের সহযোগিতায় ২০২৫ সালে পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম চূড়ান্ত করা হবে। ২০২৬ সাল থেকে পরিপূর্ণরূপে এটি কার্যকর করা হবে।’

এছাড়া চলতি বছরের অবশিষ্ট সময়ে ও বার্ষিক পরীক্ষায় ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদেরকে সংশোধিত ও পরিমার্জিত মূল্যায়ন পদ্ধতিতে মূল্যায়ন করা হবে।

প্রসঙ্গত, শ্রেণি কার্যক্রমগুলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির প্রতিটির ছয়টি করে বিষয়ভিত্তিক যে মূল্যায়ন কার্যক্রম অসম্পন্ন রয়েছে, সেগুলো আর অনুষ্ঠিত হবে না। সংশোধিত ও পরিমার্জনকৃত মূল্যায়ন রূপরেখার ভিত্তিতে ডিসেম্বর নাগাদ ২০২৪ সালের ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সংশোধিত ও পরিমার্জিত মূল্যায়ন পদ্ধতির রূপরেখা শিগগিরই বিদ্যালয়গুলোতে পাঠানো হবে। এ দিকে, প্রাথমিক শিক্ষা স্তরে প্রাক-প্রাথমিক, ক্ষুদ্র ও নৃ-গোষ্ঠি এবং প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকের সঙ্গে ধারাবাহিকতা রেখে ইতিমধ্যে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির পাঠ্য পুস্তকগুলোর পান্ডুলিপি প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জন করে মুদ্রণ করা হবে। এক্ষেত্রে, পাঠদান পদ্ধতি ও মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনা হবে। যতদূর সম্ভব মূল্যায়ন পদ্ধতি পূর্বের জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০১২’-এর মত হবে।