পেনসিলভানিয়া, যুক্তরাষ্ট্র: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরিতে ডিগ্রির বাধ্যবাধকতা তুলে দেবেন ডেমোক্রেট দলের প্রার্থী কমল হ্যারিস। শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) পেনসিলভানিয়ায় এক সমাবেশে দেয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সংবাদ রয়টার্সের।
কমলা হ্যারিস বলেন, ‘আমি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরিতে ডিগ্রির বাধ্যবাধকতা-সংক্রান্ত অপ্রয়োজনীয় বিষয়গুলো বাদ দেব। কারণ, ডিগ্রি দিয়ে মানুষের দক্ষতা মাপা যায় না। যেসব মানুষের চার বছরের ডিগ্রি নেই, তাদের জন্য কাজের সুযোগ বাড়াতে এমন পদক্ষেপ নেয়া হবে।’
বেসরকারি খাতগুলোকেও একই রকম পদক্ষেপ নেয়া উচিত বলে কমলা হ্যারিস মন্তব্য করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্সাস ব্যুরোর ২০২৩ সালের জরিপে দেখা গেছে, ২৫ বছর বা তার বেশি বয়সি আমেরিকান নাগরিকদের মধ্যে ৬২ শতাংশের বেশি মানুষের স্নাতক ডিগ্রি নেই। ২০২০ সালে ভোটারদের প্রতি পাঁচজনের মধ্যে তিনজনেরই কলেজ ডিগ্রি ছিল না।
এ দিকে, আগামী মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হলে ওহাইও অঙ্গরাজ্যের স্প্রিংফিল্ড শহরের হাইতির সব অভিবাসীকে বিতাড়িত করার অঙ্গীকার করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) লস অ্যাঞ্জেলেসে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প ফের তার এ সিদ্ধান্তের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। অঞ্চলটিতে বসবাসরত হাইতির ১৫ হাজার অভিবাসীর বেশিরভাগই বৈধভাবে অবস্থান করছেন। তবে, ঢালাওভাবে সব অভিবাসীকে বিতাড়িত করার ঘোষণায় আতঙ্কিত তারা।
এ দিকে, অভিবাসীদের প্রতি ট্রাম্পের বিদ্বেষমূলক আচরণে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেন, ‘যা হচ্ছে তা মারাত্মক ভুল।’ ট্রাম্প যা করছেন, তা থামানো প্রয়োজন বলেও মনে করেন তিনি।
এ ছাড়া, শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র ট্রাম্পের কড়া সমালোচনা করে বলেন, ‘তার এ মন্তব্য অভিবাসীদের নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে ফেলছে।’