সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

ইউক্রেনকে ‘সুবিধাজনক অবস্থানে’ রাখতে বাকি মেয়াদ কাজে লাগাবেন বাইডেন

রবিবার, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

কিয়েভ, ইউক্রেন: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের এক ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা বলেছেন ‘বাইডেন তার মেয়াদের বাকি চার মাস ‘ইউক্রেনকে জয়ী হওয়ার জন্য সম্ভাব্য সর্বোত্তম অবস্থানে রাখতে’ ব্যবহার করবেন।’

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ইউক্রেনের কিয়েভে একটি ফোরামে কথা বলার সময় যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান বলেন, ‘সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সাথে ইউক্রেনকে সহায়তা নিয়ে আলোচনা করবেন বাইডেন।’

কখন রাশিয়ার সাথে আলোচনায় বসতে হবে, ইউক্রেন সে সিদ্ধান্ত নেবে উল্লেখ করে সুলিভান বলেন, ‘জেলেনস্কি বলেছেন যে, শেষ পর্যন্ত এ যুদ্ধটি আলোচনার মাধ্যমে শেষ করতে হবে এবং আমাদের এ আলোচনার জন্য তাদের সাথে শক্তিশালী করা দরকার।’

ভাইস-প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের আগামী জানুয়ারিতে বাইডেনের স্থলাভিষিক্তর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কমলা ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, তিনি ইউক্রেনকে সমর্থন করার নীতি অব্যাহত রাখবেন। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প এ সপ্তাহের শুরুতে বিতর্কে তিনি ইউক্রেনকে যুদ্ধে জিতাতে চান কি না, তা বলেননি।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) মস্কো ও কিয়েভ সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যস্থতায় একটি চুক্তির আওতায় ১০৩ জন করে যুদ্ধবন্দী বিনিময় করার পর এবং পূর্ব ইউক্রেনে রাশিয়ার বাহিনী তাদের ব্যাপক আক্রমণ অব্যাহত রাখার প্রেক্ষাপটে বাইডেন-জেলেনস্কি বৈঠকের এ ঘোষণা এল।

সর্বশেষ বন্দী বিসিময়ে মুক্তি পাওয়া রাশিয়ানরা কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনের সাম্প্রতিক আন্তঃসীমান্ত হামলার সময় ধরা পড়েছিল। রাশিয়া বলেছে, ‘২০২২ সালের মে মাসে মস্কো আজভস্টাল ইস্পাত প্ল্যান্ট দখল করার পর বন্দী করা কিছু ইউক্রেনীয়কে মুক্তি দেয়া হয়েছে।’

জেলেনস্কি টেলিগ্রামে বলেছেন, ‘আরো ১০৩ জন সেনা রাশিয়ার বন্দিদশা থেকে ইউক্রেনে ফিরে এসছে।’

রাশিয়া নিশ্চিত করেছে যে, তারা ১০৩ ইউক্রেনীয় বন্দী সৈন্য ‘হস্তান্তর’ করেছে এবং বিনিময়ে কিয়েভের হাতে আটক রাশিয়ার ১০৩ সৈন্য সদস্য পেয়েছে।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘রাশিয়ার সব সেনা সদস্য বেলারুশ প্রজাতন্ত্রের ভূখণ্ডে রয়েছে, তাদের প্রয়োজনীয় মানসিক ও চিকিৎসা সহায়তা দেয়া হচ্ছে।’

চলমান বৈরিতা সত্ত্বেও রাশিয়া ও ইউক্রেন সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব বা তুরস্কের মধ্যস্থতায় চুক্তির আওতায় আড়াই বছরের সংঘর্ষে বন্দী কয়েক শত সৈন্য বিনিময় করতে পেরেছে।

জেলেনস্কি রাশিয়া থেকে ৪৯ ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দী ফেরত পাঠানোর এক দিন পরে এ ঘোষণা আসে এবং তিন সপ্তাহ পূর্বে উভয় পক্ষই সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যস্থতায় একটি চুক্তির আওতায় ১১৫ জন করে বন্দী বিনিময় করে।

জেক সুলিভান কিয়েভে ফোরামে একটি ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে তার মন্তব্যে বলেন, ‘অনিচ্ছা নয়, ‘কঠিন ও জটিল’ লজিস্টিক ব্যবস্থা ইউক্রেনে সহায়তা বিলম্বিত করছে।’

সুলিভান আরো বলেন, ‘এটি রাজনৈতিক ইচ্ছার ব্যাপার নয়। তবে, ইউক্রেন সে পরিস্থিতির সম্মুখীন তার পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের আরো কিছু করতে হবে এবং আরো ভাল করতে হবে।’

একই ফোরামে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ইউক্রেনের গোয়েন্দা প্রধান কিরিলো বুদানভ বলেন, ‘রাশিয়ার সব মিত্রদের মধ্যে উত্তর কোরিয়ার সহায়তা সবচেয়ে ক্ষতিকর। কারণ, তারা বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ সরবরাহ করে।’