নিউইয়র্ক সিটি, যুক্তরাষ্ট্র: ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত স্বাধীনতার ভিত্তিমূলে সার্বক্ষণিক অবস্থান নেয়ার প্রত্যয় উচ্চারিত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের চেতনায় উজ্জীবিত সমাজ ব্যবস্থা অক্ষুন্ন রাখা এবং একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত মানচিত্র, জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সঙ্গীতকে ধারণ করে রাষ্ট্রচিন্তাকে বেগবান করার অঙ্গিকার করা হয়।
নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসের ডাইভারসিটি প্লাজায় গেল ৮ সেপ্টেম্বর বিকালে সমবেত কন্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রবাসীরা এমন সংকল্প ব্যক্ত করেন। এতে বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাংস্কৃতিক কর্মী, শহীদ পরিবারের সন্তান, সাংবাদিক, রাজনৈতিক কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার প্রবাসী বাংলাদেশীরা অংশ নেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুন নবী, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী বীর মুক্তিযোদ্ধ রথিন্দ্র নাথ রায় ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শিল্পী তাজুল ইমাম এ কর্মসূচী আহ্বানন করেন। অনুষ্ঠানে অভিভাবকদের সঙ্গে বিপুল সংখ্যক শিশু-কিশোর লাল সবুজের পতাকা হাতে অংশ নেয়।
এ সময় অংশগ্রহণকারীদের হাতে ‘তুমি কে, আমি কে? বাঙালি, বাঙালি’ ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, রাজাকারের ঠাঁই নাই’ ‘তুই রাজাকার, তুই রাজাকার’ প্রভৃতি স্লোগান লিখা প্ল্যাকার্ড শোভা পায়। ডাইভারসিটি প্লাজার খোলা চত্বরে বিকালে জাতীয় পতাকাকে বেষ্টন করে ও হাতে হাতে জাতীয় পতাকা নিয়ে অংশগ্রহণকারীরা অবস্থান নেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শিল্পী তাজুল ইমাম, অ্যানী ফেরদৌসের নেতৃত্বে বিপার শিল্পীরা, দিনাত জাহান মুন্নি, মাহবুব, লুৎফুন নাহার লতা, জলি কর, মুমু আনসারী, অর্ঘ্য সারথীরসহ উপস্থিত শিল্পীদের সমবেত কন্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনে মুখরিত হয়ে উঠে জ্যাকসন হাইটস। লুৎফুন নাহার লতার কন্ঠে সৈয়দ সামছুল হকের কালজয়ী কবিতা ‘নুরুলদীনের সারাজীবন’ আবৃত্তি উপস্থিত সকলকে আপ্লুত করে। একে একে আবৃত্তি করেন সাবিনা নিরু, মঞ্জুর কাদের, শুক্লা রায়। অঙ্গীকারনামা পড়েন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সংগঠক মিথুন আহম্মেদ। সহযোগীতায় ছিলেন গোপাল স্যানাল।
মিনহাজ আহম্মেদের পরিচালনায় দুই ঘন্টার অনুষ্ঠানে সমবেত কন্ঠে কয়েক বার জাতীয় সংগীত পরিবেশিত হয়। শিল্পীরা একে একে জয় বাংলা বাংলার জয়, পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে, তীর হারা এই ঢেউয়ের সাগর পাড়ি দিবোরে, শোন একটি মুজিবরের কন্ঠে লক্ষ মুজিবরের কন্ঠসহ বিভিন্ন দেশাত্মবোধক গান করেন।