রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

প্রেসিডেন্ট নির্বাচন-২০২৪/যুক্তরাষ্ট্রে কমল সুদের হার

বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

ওয়াশিংটন, যুক্তরাষ্ট্র: যুক্তরাষ্ট্রে গেল কয়েক বছর অধিক হারে বেড়েছে সুদের হার। যার প্রভাব পড়েছে বাজারগুলোতেও। সুদের হারের কারণে যেমন বেড়েছে পণ্য-দ্রব্যের দাম, তেমনি বেড়েছে ব্যয়ও। এবার দীর্ঘ আলোচনার পর দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইউএস ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার শুন্য দশমিক পাঁচ শতাংশ কমিয়েছে। যার ফলে সাধারণ মানুষের নিত্যদিনের ব্যয় কিছুটা কমবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) টানা দুই দিনের বৈঠক শেষে এ সিদ্ধান্ত জানায় যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ। নয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদের হার এখন চার দশমিক ৭৫ থেকে পাঁচ শতাংশের মধ্যে করা রয়েছে। যা মার্কিনীদের মাসিক ক্রেডিট কার্ড, ব্যক্তিগত, বন্ধকি ও অন্যান্য ঋণের ব্যয় কিছুটা কমাবে বলে মতামত বিশেষজ্ঞদের। এ ছাড়া শেয়ারের দাম বাড়লে মুনাফাও বাড়বে বিনিয়োগকারীদের।

সুদের হার কমানোর এ সিদ্ধান্ত আসন্ন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটারদের বেশ প্রভাবিত করতে পারে। করোনা ভাইরাস মহামারী শুরু হওয়ার পর এটাই প্রথম হ্রাস।

নির্বাচনী প্রচারণায় ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস এটিকে খুব ভালভাবেই ব্যবহার করছেন। তিনি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তার নির্বাচনী দৌড়ে তার ও প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের এ অর্থনৈতিক অর্জনকে তুলে ধরেন। তিনি এটিকে যেসব মার্কিনী উচ্চমূল্যের ধকল সামলাচ্ছেন, তাদের জন্য (অর্থনীতিতে ইতিবাচক) সুখবর বলে অভিহিত করেন।

বাইডেনের হোয়াইট হাউস বলেছে যে, ঋণ গ্রহণের সুদের হার হ্রাস যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির জন্য ‘অগ্রগতির মুহূর্ত’ হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে।

ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল বলেছন, ‘আমরা ধারণার বাইরের সুদের হার কমিয়েছি। মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে যুদ্ধ করতে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি যথেষ্ট শক্তিশালী। এছাড়া আমাদের চাকরির বাজারও যথেষ্ট শক্তিশালী রয়েছে। আমরা আশা করি, নয়া এ পদক্ষেপ মার্কিনীদের স্বস্তি দিবে।’

এর পূর্বে, গের দুই বছরে টানা ১১ বার সুদের হার বাড়িয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যা মার্কিনীদের আর্থিক ব্যয়ের পাশাপাশি বাড়িয়েছিল নিত্যদিনের খরচও।