শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

দেড় বছরের মধ্যে নির্বাচন হতে পারে- এটি একান্তই সেনাপ্রধানের ব্যক্তিগত মতামত

শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র: জাতিসংঘের ৭৯তম সাধারণ পরিষদের সাইডলাইনে ‘ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ’ শীর্ষক সম্মেলন বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) নিউইর্য়ক সিটির রিগো পার্কের জয়া পার্টি হল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেন্টার ফর এনআরবির এ সম্মেলনের আয়োজন করে।

এতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘আগামী ১৮ মাস বা দেড় বছরের মধ্যে নির্বাচন হতে পারে-এমন আলোচনা অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে হয়নি। এটি একান্তই সেনাপ্রধানের ব্যক্তিগত মতামত।’

বহির্বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি উন্নয়নে প্রবাসীরা গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করছেন ও তাদের পাঠানো অর্থ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বলিষ্ঠ অবদান রেখে চলেছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশ তার রাষ্ট্রীয় স্বার্থ বজায় রেখে সব দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে কাজ করে যাবে। দেশ আজ নিজস্ব গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে এবং আমরা আমাদের বৈদেশিক নীতির কিছু ক্ষেত্রে দেশের স্বার্থ সমুন্নত রাখতে কারো কোন পরামর্শে বিচ্যুত হব না। আমরা আমাদের নিজস্বতা ও মর্যাদা বজায় রেখে প্রতিবেশীসহ সব দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে এগিয়ে যাব। আমাদের ছাত্র-জনতার আকাঙ্ক্ষা পূরণে ও আমাদের দেশের স্বার্থ রক্ষায় আমরা বদ্ধপরিকর।’

এনআরবি সেন্টারের চেয়ারপার্সন এমএমএস সেকিল চৌধুরীর সভাপতিত্বে সম্মেলনে নির্ধারিত আলোচক ছিলেন জাতিসংঘ স্কলার ও চিন্তাবিদ ইন্দনেশিয়ার শামসী আলী, জাতিসংঘের পরিবেশ ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ইনা ইসলাম, লন্ডন ব্রান্ট কাউন্সিলের প্রাক্তন মেয়র পারভেজ আহমদ ও বাংলাদেশের ব্যবসায়ী নেতা মো. সবুর খান।

অনুষ্ঠানে আলোচনায় অংশ নেন এনআরবি সেন্টার আমেরিকার সাপোর্ট গ্রুপের প্রতিনিধি সানওয়ার চৌধুরী, সাংবাদিক শামসাদ হুসাম, সমাজসেবী বদরুন নাহার মিতা ও কবির চৌধুরী, মহিলা উদ্যোক্তা তহুরা চৌধুরী, নাসির উদ্দীন, কমিউনিটি নেতা রোকন হাকিম, কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বদরুল আলম, ব‍্যবসায়ী নেতা লিটন আহমদ, ব‍্যাংকার ওয়াসেফ চৌধুরী, সমাজসেবী আব্দুর রহমান, মোজাফ্‌ফর আহমদ, তরুণ উদ্যোক্তা শেখ ফরহাদ।

আব্দুর রহিমের কোরান তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়।

বক্তারা বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে প্রবাসী ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের পাশাপাশি দল নিরপেক্ষ মেধাবী ব্যক্তিদেরও কাজে লাগাতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান এবং পরবর্তী রাজনৈতিক সরকারের জন‍্য ইতিবাচক কার্যক্রম এবং সৎ ও নীতিবান কর্মকর্তাদের প্রশাসনের কাজে নিয়োজিত করার পথ তৈরির আহ্বান জানান।

বক্তারা বলেন, ‘প্রবাসীরা দিতে চান, রাষ্ট্রের কাজ হবে এটি গ্রহণের ব্যবস্থা নেয়া।’

প্রবাসীরা বলেন, ‘দেশে দুর্নীতি ও লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে, লুটের টাকা বিদেশে পাচার করে বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণকারী দূর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে, লুটকারীদের রাষ্ট্রীয় কার্যক্রমে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করতে হবে, রাজনীতির নামে দেশের ও প্রবাসীদের হয়রানী ও সম্পদ হরণ বন্ধ করতে হবে, আদর্শ রাজনীতিবিদদের অগ্রাধিকার দিয়ে দেশ পরিচালনার ব্যবস্থা করতে হবে।’

সেকিল চৌধুরী বলেন, ‘প্রবাসীরা বিদেশে দেশের ব্র্যান্ডিং করছেন, রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক অবদান রাখছেন। সুতরাং, রাষ্ট্রেকে প্রবাসীদের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সমাধান করতে হবে, পাওয়ার অব অ্যাটর্নি, এনআইডি কার্ড, পাসপোর্ট নবায়নসহ অত্যাবশ্যকীয় কনসুলার সেবাগুলো সহজলভ্য করতে হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘বিদেশে বাংলাদেশের মিশনগুলোকে দলবাজির বাইরে রাখতে হবে, কূটনৈতিকদের দলীয় রাজনৈতিক কার্যক্রম থেকে দূরে রাখতে হবে, মিশনগুলোতে দল-মত নির্বিশেষে সব প্রবাসীকে সর্বোচ্চ সেবা প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে, মিশন কর্মকর্তাদের অযথা কাজে যোগদান থেকে বিরত রাখতে হবে।’

বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা ও প্রকাশনার কাজ থেকে মিশন কর্মকর্তাদের বিরত থেকে প্রবাসী ও দেশের কাজে সময় ব্যয় করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশনা প্রদানের জন‍্য সেকিল চৌধুরী সরকারের কাছে আহ্বান জানান।